ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। প্রতিবছর দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার কোরবানি পশু দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে যায় এবার ফেরিঘাটের বিভিন্ন সমস্যা থাকায় প্রতিদিন শতশত যানবাহন আটকা পরে থাকছে দৌলতদিয়া ঘাটে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই শত ট্রলারে উত্তাল পদ্মা পারি দিচ্ছে গরু ব্যাবসায়ীরা।
সূত্রমতে, পদ্মা নদীর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গত বছরের ২৮ আগস্ট রোববার তীব্র ¯্রােতের ঘুর্ণিপাকে পড়ে ২২ টি গরু নিয়ে ডুবে যায় একটি ট্রলার। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৯ টি গরু জীবিত ১ টি মৃত উদ্ধার করা হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ১২ টি গরু ও ট্রলারটি। এ ঘটনার একদিন পর ৩০ আগষ্ট জেলা সদরের ধাওয়াপারা ঘাট এলাকায় ২৭ টি গরু নিয়ে ডুবে যায় একটি ট্রলার। উত্তাল পদ্মা-যমুনায় ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও এ এলাকায় অন্তত ২ শতাধিক ট্রলার বহাল তবিয়তে প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে কোরবানীর পশু, ও মালামাল পারাপার করছে। কিন্তু টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।
কালুখালী উপজেলার গরু ব্যাবসায়ী লিটন প্রামানিক জানান দৌলতদিয়া ঘাটের দুরাবস্থার কারণে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোরবানির পশু নিয়ে ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন। অনেক দুর দুরান্ত থেকে ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকলে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পরে এর মধ্যে তাই তারা ট্রলারে নদী পার করে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ট্রাকে করে গরু নিয়ে ঢাকায় যাবেন।এছাড়া সড়ক পথেও ব্যাপক যানজটের সাথে রয়েছে পথে পথে চাঁদাবাদি ও ভোগান্তি।
অপর এক গরু ব্যাবসায়ী শমশের মোল্লা জানান, নদীতে প্রচন্ড ¯্রােত এর মধ্যে ঘাটে বসে থাকার চেয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হওয়াই ভালো। তিনি জানান এ বছর সড়কে ভোগান্তির কারনে মানিকগঞ্জের আরিচা হাটকে বেছে নিয়েছে তারা। নদীতে ট্রলার ডুবির ব্যাপারে তিনি জানান, দক্ষ চালক হলে নদী পার হতে ঝুঁকি একটু কম থাকে। গোয়ালন্দ উপজেলার ক্যানেলঘাট এলাকার বাসিন্দা হাবিব রেজা টুটুল জানান, দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট এলাকা হতে প্রতিদিন শত শত গরু ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকা, মানিকগঞ্জের আরিচা, ঝিটকাসহ বিভিন্ন হাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ট্রলারে ৫০-৭৫টি গরুর সাথে অন্তত ১৫-২০ জন করে মানুষ যাচ্ছেন। নদীর স্্েরাতের কারনে গরুগুলো তেমন সমস্যা করবে না সমস্যা করবে সাথে থাকা মানুষগুলো। নদীর ঢেওয়ের সাথে তারা এপাশ ওপাশ করলেই বিপদ ঘটতে পারে।
এ ব্যপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, নদীতে প্রচন্ড ¯্রােত রয়েছে তাই ট্রলার চালকদের বলা হয়েছে সহনীয় পর্যায়ে গরু বহন করার জন্য। অনেক ব্যবসায়ী নৌপথে গরু নিয়ে মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন