দুপচাঁচিয়া উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। গত ২ বছরেও স্বাস্থ্য বিভাগ ত্রুটি সাড়িয়ে মেশিনটিকে সচল করতে পারেনি। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এ ছাড়াও বাধ্য হয়ে রোগীদেরকে অনেকগুন বেশি টাকা দিয়ে বাইরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে গিয়ে এক্সরে করতে হচ্ছে।
উপজেলা সদরের বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়ক সংলগ্ন দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসষ্ট্যান্ডের পার্শ্বে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। বিগত কয়েক বছর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অবকাঠামোগত বেশ কিছু উন্নতি হয়। ২০০৮ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় প্রশাসনিক অনুমোদন লাভ করার পরে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দুপচাঁচিয়া উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কাহালু ও আদমদিঘী উপজেলা এবং জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর ও কালাই উপজেলার অনেক রোগীই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে। ফলে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গুরুত্ব অনেক বেশী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গুরুত্ব বিবেচনা করে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২ বছর পূর্বে বিকল হয়ে পড়ে থাকা পুরাতন এক্সরে মেশিন পরিবর্তন করে গত ২০১৪ সালের পহেলা জুলাই প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের নতুন এক্সরে মেশিন (যার মডেল নং সিম্পল ১০০-৩০, ৩০০এমএ) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ করে। মেশিনটি ২ বছর চালানোর পরই গত ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর কাজ করার সময় বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এ ব্যপারে গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, এক্সরে মেশিনটি মেরামতের জন্য বহুবার কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন করেছেন। গত ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর ঢাকা মহাখালী নিমিউ এন্ড টিসি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ হতে একটি পরিদর্শন টিম এক্সরে মেশিনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করে এক্সরে মেশিনটি মেরামত করা ব্যয়বহুল। এ ছাড়াও বর্তমানে এর যন্ত্রাংশ বাজারে পাওয়া যায় না। এরপরও তিনি একটি নতুন এক্সরে মেশিনের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তৃপক্ষকে প্রায় প্রতিমাসেই লিখিত আবেদন করছেন। গত ২২ অক্টোবর হাসপাতালে অসুস্থ্য গরিব রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য একটি নতুন এক্সরে মেশিন জরুরীভাবে প্রদানের জন্য আবারো আবেদন করেছেন বলেও জানান।
এ দিকে গত প্রায় ২ বছর যাবত এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকেই অধিক মূল্য দিয়ে বাইরের হাসপাতাল ক্লিনিক থেকে এক্সরে করে আনলেও গরিব অসহায় রোগীদের এ ক্ষেত্রে দুর্ভোগের সীমা নেই। দুর্ভোগের শিকার ভুক্তভোগী রোগীরা এ ব্যপারে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন