সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কারও অনুমতি চাইবে না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। রুশ দৈনিক কমমারসেটে লেখা একটি নিবন্ধে এ দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সে জন্য কারও কাছ থেকে আমাদের পরামর্শ নেয়ার দরকার নেই। ‘সন্ত্রাসী সংগঠন কুর্দিশ প্রটেকশন ইউনিটসের কার্যক্রম গত ৩০ বছর ধরে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে। কাজেই এমন একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কারও অনুমতির দরকার নেই,’ বললেন এরদোগান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দেয়া আমাদের অধিকার। যারা সিরিয়ার ভেতর থেকে আমাদের দেশের জন্য হুমকি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার আমরা রাখি। তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে সমন্বয় নিয়ে লেখা নিবন্ধে এরদোগান আরও বলেন, সিরিয়া ও প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে বসবাস করা কোনো কুর্দিদের সঙ্গে তুরস্কের কোনো সমস্যা নেই। এরদোগান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গোষ্ঠী মূল ঘটনা উপেক্ষা করছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার কুর্দিদের প্রতিনিধিত্ব করছে না। বিপরীতে তারা কুর্দিশ লোকদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলছে। সিরিয়া থেকে পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীরা নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাহায্যের কথা বলেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ শরণার্থী তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার কুর্দি ও আরব শরণার্থীরা তুরস্কের সাহায্যে নিজ দেশে ফেরারও স্বপ্ন দেখছেন। তারা তুরস্কের প্রশংসা করে বলছে, সন্ত্রাসীরা তাদের থাকার জায়গা দখল করে নেয়ার পর তুরস্ক আশ্রয় দিয়েছে। খবরে বেশ কিছু শরণার্থীর মতামত নেয়া হয়েছে। আহমেদ সুলাইমান এক শরণার্থী বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি আমার এলাকা সন্ত্রাসীমুক্ত দেখতে চাই। তুরস্ক আমার এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত করে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ করতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে শুরু হওয়া এক বিধ্বংসী সংঘাত থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। যখন আসাদ সরকার অপ্রত্যাশিত হিংস্রতা বিক্ষোভকারীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন