মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্য, পুতিনের ফাঁকা মাঠ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৩৯ পিএম

ব্রেক্সিট ইস্যুতে টালমাটাল যুক্তরাজ্য, অন্যদিকে ‘শাটডাউন’ নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র। বৈশ্বিক রাজনীতির প্রধান দুই প্রতিযোগির বেকায়দা অবস্থা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য সুসংবাদ হয়ে এসেছে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য তার পথ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে এই অভিমত দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আনন্দ ও স্বস্তি ছিল দেখার মতো। সোভিয়েতের পতনের পর প্রায় দুই দশক বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতি শাসন করেছে এই দুটি দেশ। ইরাক যুদ্ধে মিত্র হিসেবে অংশ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এই বন্ধুত্ব দেখা গেছে পুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদের বিকাশেও। এ ক্ষেত্রেও দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে গেছে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার যেন পুনর্জাগরণ ঘটেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজের দেশের অর্থনীতির আসল অবস্থা বিশ্বকে জানতে দেন না পুতিন। গত বছরের নির্বাচনে জয়ের পর একনায়ক হিসেবে নিজের ভিত আরও শক্ত করেছেন পুতিন। এখন আগের সোভিয়েত আমলের ‘প্রভাব’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। আর সেক্ষেত্রে যাদের কাছ থেকে বাধা আসার কথা, তারাই পড়ে গেছে বেকায়দায়। ফলে কঠিন কাজটি বেশ সহজ হয়ে গেছে পুতিনের।
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছেন পুতিন। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় মাঠ এখন ফাঁকা পুতিনের।
টালমাটাল অবস্থা যুক্তরাজ্যেরও। যুক্তরাষ্ট্রের মতোই ব্রিটিশ মুলুকে অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ব্যক্তিগত ক্যারিশমা দেখিয়ে ট্রাম্প-থেরেসা দেশের নেতা বনে গেলেও, নেতৃত্বে সফল হতে পারছেন না। নিজেদের দেশেই যাদের এই অবস্থা, তারা বিশ্ব রাজনীতির খেলায় আর কি নৈপুণ্য দেখাবেন!
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঠিক এই কারণেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঝামেলায় তাকে ভুগতে হচ্ছে না। দেশ থেকে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে পুতিনের ‘লৌহমানব’ মর্যাদা। এভাবে চলতে থাকলে পুতিন তথা রাশিয়া বিশ্ব রাজনীতিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Tareq Ahmed ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:২৬ পিএম says : 0
Ami asha kori europeo union and america abong Russia .china jeno eke oporer songhorse destroy hoejay! Tatei amader unnoter poth sohoj hobe
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন