শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা স্ত্রী ডা. মিতু গ্রেফতার

চট্টগ্রামে চিকিৎসকের আত্মহত্যা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ তার পরিবারের ছয় সদস্যকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ডা. আকাশের মা বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে মিতুকে আটক করে পুলিশ।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মিতুকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় তার বাবা-মা ও ভাইসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এদিকে নগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আত্মহত্যার আগে ডা. আকাশ ফেইসবুকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়া বা বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের যেসব অভিযোগ করে গেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল সকালে দামপাড়া পুলিশ লাইনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে ওই দম্পতির মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিতু কিছু কিছু বিষয় আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আবার কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন। আমরা ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে খতিয়ে দেখব।
তিনি বলেন, বছর তিনেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন আকাশ ও মিতু। বিয়ের পরপরই মিতু অমেরিকা চলে যান। তখন থেকেই বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ১৩ জানুয়ারি মিতু দেশে আসার পর তা আরও বেড়ে যায়। বুধবার রাতে এ নিয়ে তাদের হাতাহাতিও হয়। সেদিন রাতেই মিতুর বাবা এসে আকাশদের বাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে যান। ভোরের দিকে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন আকাশ।
পুলিশ কর্মকর্তা মিজান বলেন, মিতুর ব্যাপারে আকাশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন, আর তার পরিবারের কাছ থেকে আমরা যেসব তথ্য পেয়েছি, সেগুলো যাচাই করার জন্য আমরা মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আকাশ তার পোস্টে মিতুর যেসব বন্ধুর নাম বলে গেছেন, তাদের বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করবে বলে জানান তিনি।
৩২ বছর বয়সী আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে বিষ প্রয়োগ করে তিনি আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে ফেইসবুকে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক পুরুষের সাথে পরকীয়া এবং তার সাথে প্রতারণার অভিযোগ করে যান। এর প্রমাণ হিসেবে মিতুর সঙ্গে তার বন্ধুদের বেশ কিছু ছবিও তিনি ফেইসবুকে তুলে দিয়ে যান।
ডা. আকাশ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর টিউশানি করে নিজের পড়ার খরচ চালিয়েছেন মেধাবী ছাত্র আকাশ। নগরীর চকবাজারে ত্রি-ডক্টরস নামে তার একটি কোচিং সেন্টার আছে। তাদের বাসা নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়িতে। তার স্ত্রী মিতুও চিকিৎসক। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে আমেরিকায় যান।
ডা. মিতু কারাগারে
এদিকে ডা. আকাশের মায়ের মামলায় গ্রেফতার ডা. মিতুকে বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মহানগর হাকিম আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানান নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন। আকাশের মা জোবেদা খানম বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা করেন। মামলায় মিতু ছাড়া আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মিতুর বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা মোছাম্মৎ শামীমা শেলী ও বোন সানজিলা হক চৌধুরী, মিতুর কথিত দুই বন্ধু ডা. মাহবুবুল আলম এবং আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক প্যাটেল। মামলার এজাহারে বলা হয়-আসামিরা মানসিক যন্ত্রণা ও উত্তেজনা সৃষ্টির মাধ্যমে আকাশকে আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত করে। এজাহারে বলা হয়- আকাশের সঙ্গে বিয়ের আগে মিতুর সম্পর্ক ছিল ডা. মাহবুবুল আলমের সঙ্গে। বিয়ের পর আমেরিকায় গিয়ে সম্পর্কে জড়ান প্যাটেলের সঙ্গে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (39)
মোঃ সোহেল রাড়ি ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
আচ্ছা যদি ডাঃ আকাশের ঘটনাটা এমন না হয়ে ঠিক উল্টো হতো, মানে ডাঃ আকাশের পরকিয়ার কারণে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করতো তাহলে নারীবাদীদের চেতনায় আঘাত লেগে যেতো, বিচার বিচার বলে সবাই মুখে ফেনা তুলে ফেলতো, ফাঁসির দাবীতে সবাই রাস্তায় নেমে পরতো। কিন্তু এখন, ডাঃ আকাশ একজন পুরুষ হওয়ার কারণে কারো মুখে কোনো কথা নেই। এদেশে নারী নির্যাতনের আইন আছে, কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের কোনো আইন নেই। অথচ গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরাই প্রতিনিয়ত সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে মানসিকভাবে। ডাঃ আকাশ আত্মহত্যা করেছে বলেই তার ঘটনাটা আমাদের চোখের সামনে এসেছে, অথচ বাংলাদেশের ৮০% পরিবারে প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনা ঘটছে। সবাই হয়তো ডাঃ আকাশের মত আত্মহত্যা করতে পারেনা। নিজের পরিবার, মা-বাবা, ভাইবোন, সন্তানদের কথা চিন্তা করেই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় তাদের। বাংলাদেশের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ পরিবারে স্বামীর চোখের সামনেই স্ত্রী পরপুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা করছে অথচ নিরীহ স্বামী কিছুই করতে পারছেনা। কারণ পুরো দেশটাই তো এখন নারীবাদীদের দখলে। নারী স্বাধীনতার নামে চলছে নষ্টামি, নোংরামি, পরকীয়ার মত মারাত্মক অপরাধ। কিছু বললেই তাদের কাছে রয়েছে এক বিরাট অস্ত্র, "নারী নির্যাতন মামলা" কিছু বললেই নারী নির্যাতন মামলা ঠুকে দেয়, অথচ কিছুদিন আগে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এই নারী নির্যাতন মামলার ৯০% মামলাই মিথ্যা এবং ভূয়া। এগুলো করা হয় মূলত পুরুষকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে। স্ত্রী যখন পরকীয়া করে তখন আমরা স্বামীর দোষ দিই। স্বামী বোধহয় শারীরিক দুর্বল-ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রীর যৌন চাহিদা মেটাতে পারছেনা বলেই স্ত্রী পরকীয়া করছে। অথচ স্বামী যখন পরকীয়া করে তখন স্ত্রীর দোষ দিইনা, উল্টো তখনও স্বামীর দোষ দিই। স্বামী চরিত্রহীন, লম্পট, ঘরে স্ত্রী রেখে অন্য মহিলার সাথে সম্পর্ক ইত্যাদি ইত্যাদি.... মানে স্ত্রী পরকীয়া করলেও সেটা দোষের কিছুনা কিন্তু স্বামী পরকীয়া করলে সেটা মারাত্মক অপরাধ। ঠিক একিভাবে দুটো ছেলেমেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে মেয়েটি ছেলেটির বিরুদ্ধে "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ"এর মামলা দিয়ে দেয়। তাদের শারীরিক সম্পর্কটাকে ধর্ষণের রুপ দিয়ে দেয়। অথচ দুটো ছেলে মেয়ের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে ছেলেটি মেয়েটির নামে কোনো মামলা দিতে পারেনা। কারণ প্রেমে প্রতারিত হলে আদালত এমন কোনো মামলা নেয়না। এভাবেই আমরা মেয়েদের সব অপরাধকে বৈধতা দিয়ে আসছি প্রতিনিয়ত। আমাদের সামাজ ব্যাবস্থার সবচেয়ে একচোখা নীতিটা হচ্ছে একটা মেয়ে যখন নির্যাতিত হয়ে মারা যায় সেটা সবার বোন হয়ে যায় ,কিন্তু অভিচারে নির্যাতিত পুরুষটা কারো ভাই হয় না ৷ যারা আত্মহত্যার জন্য ডাঃ আকাশকে দোষারোপ করছেন তাদের বলতে চাই, আপনি উনার জায়গায় হলে অনেক আগেই পৃথিবী থেকে উদাও হয়ে যেতেন। উনি প্রচণ্ড ধৈর্যশীল এবং উদার মনের মানুষ। উদার মনের মানুষ ছিলেন বলেই বিয়ের আগে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানার পরও তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিল, শুধু তাই নয়, বিয়ের পরও বারবার স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরেও প্রম, ব্যক্তিগত ভাবে সালাম জানাই ডাঃ আকাশ কে।
Total Reply(2)
Gomes ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:১৩ এএম says : 4
Very good comment!!!
Md. Enayet Hossain Lin ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৫৭ এএম says : 4
ধন্যবাদ ভাই মোঃ সোহেল রাড়ি কে।
Dhali Muhammad Sanaullah ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
আত্মহত্যা করা সেই চিকিৎসকের একাধিক পরকীয়া করা স্ত্রীকে পুলিশ আটক করেছে, পরনে দেখলাম বোরকা!! আমি তো ভেবেছিলাম তার পরনে কোনো রকম পোষাকই থাকবে না... ... নিচতলা সবার জন্য খোলা রেখে, উপরতলা বোরকা দিয়ে ঢেকে রাখলে কি লাভ বুঝলাম না! বোরকা হলো পবিত্র পোষাক, দয়া করে বোরকার অপব্যবহার করবেন না...
Total Reply(0)
Rahmat Patwary Rafsan ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 1
কাপুরুষ'রা অভিমান করে আত্মহত্যা করে!আর বীর পুরুষ'রা তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করে।
Total Reply(0)
মুক্ত চিন্তাবিদ মানুষ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
আত্মহত্যা মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।ডাক্তার হিসাবে এই ধারনা টা কেন ছিলনা এটাই বুঝিনা।
Total Reply(0)
Saznus Naxib ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
পরকীয়া প্রমাণ হলে কাবিননামা ব্যতীত ডিভোর্স দেওয়ার বিধান চালু করা হোক...
Total Reply(0)
md younoch ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
সবসময় নারীরা নির্যাতিত হয়না। কিছু ক্ষেত্রে পুরুষ ও হয়।
Total Reply(0)
Sardar Julfiqar Rahman ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
একটা কথা আছে, মরে যাওয়ার চেয়ে বেঁচে থাকতে বেশি সাহসের প্রয়োজন হয়। মেধাবী ছাত্র হিসেবে, সমাজের প্রতিষ্ঠিত একজন মানুষ হিসেবে তাঁর সে সাহস থাকা উচিৎ ছিল। জীবন তো একটাই।হেরে গিয়ে কেন জিতে যাবেন, জিতেই আপনার জেতার সম্ভাবনা ছিল।
Total Reply(0)
ahmed Mozaffar ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যাবস্হায় এতো আবেগ প্রবন হওয়ার কোন কোন প্রয়োজন ছিল না ।
Total Reply(0)
আন্দালিব ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
একতরফা ভালবাসার কোন মানে হয়না-- আবেগে গা ভাসিয়ে ডাঃ মোস্তফা অনেকগুলো ভুল করেছিলেন, জীবনটা বিলিয়ে দেয়া জীবনের শেষ ভুল।
Total Reply(0)
Md. Masud Rana ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
ফাঁসির শাস্তিও কম হয়ে যাবে চিকিৎসক তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর জন্য। তাই ফাঁসি তার একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি।
Total Reply(0)
NAhmed ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
স্ত্রী , শাশুড়ির বিরুধ্যে পুরুষ নির্যাতন ও হত্যা মামলা হওয়া উচিত ছিল.
Total Reply(0)
সজীব ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
৩৫ লাখ টাকা দেনমোহর না হলে আমার ধারণা মোস্তফা সাহেব ডিভোর্স দিয়ে দিতেন। কিংবা কে জানে, আবেগ কন্ট্রোল করতে পেরেই আজ নিজের জীবন দিলেন। এটা যেনো ২০১৯ সালে সারা দেশের জন্য একটা স্ট্রং মেসেজ হয়, পরকীয়ার কারণে যাতে আর কোন সংসার না ভাঙ্গে... দরকার হলে বিবাহ বিচ্ছেদ করে যা ইচ্ছা করো, কিন্তু স্বামী কিংবা স্ত্রী সাথে চিট করার কোনো মানে হয় না..
Total Reply(0)
Ali Ashraf Khan ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হউক।
Total Reply(0)
রাশেদ সন্দ্বীপ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
আজ যদি উনি স্ত্রী কে ডির্ভোস দিতো তাহলে নারী নির্যাতন মামলা খেতে হত। আজ যদি ছেলের জায়গায় মেয়ে হতো তাহলে ছেলের ফাসির দাবীতে রাস্তায় শত শত লোক দেখা যেতো।মামলাও খেত ছেলেটা। আসলে বর্তমানে পুরুষ জাতি অসহায়!
Total Reply(0)
Humayra Akter Mim ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
বিয়ে করার আগে হুশ থাকে না, মডেলের মতো সুন্দরী কন্যা, সবার ক্রাশ, পাড়ার সব পুরুষদের আরাধ্য, ফিগার দেখায় বেড়ানো সস্তা মেয়েটার জন্য কুত্তার মতো লালা ঝরতে থাকে, ইশ যদি পাইতাম! শেষে রূপ দেখিয়ে বেড়ানো সস্তা মেয়েটাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, মেয়ের যোগ্যতা আছে, ডাক্তার। সে নিজেও ডাক্তার, তাদের ছয় বছর প্রেম চলে, একই সাথে আরো দুই তিনজনের সাথে প্রেম চালায় মেয়েটা, ছেলেটা সব জেনেও শেষে বিয়ে করে, থাক, বিয়ে হলে ঠিক হয়ে যাবে, এই আশায় ধুমধাম করে সে বিয়ে করে। বিয়ের দিন স্টেজে মাখামাখির ছবি দেখায় সবাইকে। হ্যাপী কাপল, নাইস কাপলের কমেন্টে ফেবু সয়লাব। দিন গড়ায়, বউ ঠিক হয় না, আরো স্বাধীনতা ভোগ করতে থাকে, বউয়ের পোশাক-আশাক, বন্ধু-বান্ধবের সাথে হই হুল্লোড় করা কিছুতেই তেমন বাধা দিতে পারে না। হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করে বউ দুই তিনটা পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে, সেগুলো জাস্ট ফ্রেন্ডের রিলেশন না, খুব খারাপ সম্পর্ক, মেসেঞ্জারে কথোপকথন আর ছবি দেখে গা রি রি করে উঠে, নিজের উপর ঘৃণা ধরে, শেষমেশ রাগে, অভিমানে আর বিশ্বাসঘাতকতার কষ্ট ভুলতে আত্মহত্যা করে চিরস্থায়ী আযাব ভোগ করতে পরপারে পাড়ি জমায় ডাক্তার আকাশ। বউ ডাক্তার মিতুর পরকিয়া দেখে রাগে দুঃখে আত্মহত্যা করেছে, ডাক্তার আকাশের জন্য কোনো সমবেদনা নাই। সব জেনেও এরকম থার্ড ক্লাস মেয়ে বিয়ে করে কেন? রূপের মোহে আটকে পড়েছিল ? আমার পরিচিত এক ছেলেকে বেশ কয়েক বছর ঘর করার পর তার মডেলের মতো সুন্দ্রী বউ ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। বিয়ের আগে সেই মেয়ের প্রেম ছিল, সে তা জানত, তারপরও তার রূপের আগুনে পতঙ্গের মতো নিজেকে সঁপে দিয়েছিল, ভেবেছিল, বউকে পরে ঠিক করে নেবে, বউয়ের মাথায় রংবেরঙের পেঁচানো হিজাব দিতে পেরেছিল, কিন্তু ভিতরে কিছুই পাল্টাতে পারে নাই। স্বামীর দেওয়া গিফটের মোবাইলে প্রেম করেছে, তার দেওয়া সাজসজ্জা আর পোশাক পরে অন্যদের সাথে মাখামাখি করেছে, জাস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে হই হুল্লোড়ে মেতেছে তারপর পরকিয়া করে ভেগেছে। ছেলেটাকে বলেছিলাম, ‘বিয়ার আগে তো হুশ থাকে না, ধলা চামড়া আর মঠেল ছেড়ি দেখে পাগলা হও, যেমন থার্ড ক্লাস ছেড়িরে বিয়া করছিলা, তার ফল তো ভোগ করবাই।' গোশতের দোকানের সামনে কিছু কুত্তা গোশতের দিকে তাকিয়ে জিহবা বের করে লালা ঝরায়, কিছু মেয়ে আছে শরীরের গোস্ত দেখিয়ে রাস্তার মানুষদেরও লালা ঝরায়, আমার এই সব থার্ড ক্লাস মেয়েদের জাস্ট বেশ্যা বলে মনে হয়, আর এদের পিছনে ঘুরঘুর করতে থাকা ছেলেগুলোকে খদ্দের মনে হয়। একজন মনোবিদের লেখায় পড়েছিলাম, শরীর দেখিয়ে যৌন উদ্দীপনা ছড়িয়ে পুরুষকে আকৃষ্ট করে থার্ড ক্লাস শ্রেণির মেয়েরা। আর এই সব মেয়েদের যারা জেনে শুনে বিয়ে করে বউয়ের রূপ দেখিয়ে বেড়ায় তারা পার্ভাটেড ছাড়া আর কিছুই নয়। বিয়ের আগে রূপে দিওয়ানা হয়ে 'খাইয়া ছেড়ে দেওয়া মালকে' বিয়ে করে, সব ইতিহাস জেনেও বিয়ে করে, রূপের কাছে চরিত্র ব্যাপার না। যে যেমন বিয়ে করে, তার তো ফল তাকে ভোগ করতেই হবে। তাই কারো জন্য কোনো সহানুভূতি নাই। যারা বিয়ে করে নাই, তাদের জন্য এই ঘটনা একটা শিক্ষা। বিয়ের আগে সবার আগে দ্বীন্দারিতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
Total Reply(0)
Mohi Uddin ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
সবাই বলতেছে আকাশ মিতুকে তালাক কেন দিল না! কিভাবে দিবে? কাবিন তো .. রাখছে ৩৫ লাখ..... আমার ... সমাজ ব্যবস্থা।
Total Reply(0)
Lutfun Nahar ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
পরকীয়া মানেই অভিশপ্ত জীবন ।একটা গোছানো সংসারকে ধ্বংস করে দেয়। পরকীয়া আর এইডস রোগের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ।এইডস রোগ যেমন রক্ত কিংবা ছুড়ি কাঁচির মাধ্যমে প্রসারিত হয় তেমনি পরকীয়া স্বামী স্ত্রী এবং সন্তানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ।আত্নহত্যা থেকে শুরু করে সন্তানদের হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করেনা।পরকীয়া মানেই জাহান্নাম। যারা পরকীয়ায় জড়িত তাঁরা অসম্ভব চরিত্রহীন ।ইসলাম এদেরকে ঘৃণা করে ।
Total Reply(0)
Mohsin- Al-Mamun ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
সবাই শুধু মেয়েটির দোষ দিচ্ছে।ওর কি দোষ?ও তো নষ্টা। ডাক্তাররা অনেক মেধাবী হয়ে থাকেন।এজন্যই কি তিনি আত্মহত্যা করে মেধার পরিচয় দিলেন।তিনি বারবার সতর্ক করার পরও নষ্টা মেয়েটি বারবার নষ্টামী করে যাচ্ছিল।ডাক্তারের কি উচিৎ ছিলনা নষ্টা মেয়েটিকে তার বাধন থেকে মুক্ত করে দেয়া? অথবা নিরবে সব নষ্টামী সহ্য করে যাওয়া? আপনি থাকলে কি করতেন? ডাক্তার নিশ্চয়ই অনেক আবেগী ছিলেন।কিন্তুু বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগ মূল্যহীন এবং নিছক গান্ডুগিরি ছাড়া আর কিছুই নয়।তিনি আত্মহত্যা করে শুধু নিজেই মরেন নি,তার পুরো পরিবারকেই ধুকে ধুকে মেরে ফেলার ব্যবস্হা করে গেছেন। উনি কি আত্মহত্যার মাধ্যমে Hero হতে চেয়েছেন?
Total Reply(0)
Md Faisal ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
এই বিয়েটার আগা গোড়াই সমস্যা। প্রথমত বিয়ের আগে ওদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। দ্বিতীয়ত বিয়েতে ৩৫লক্ষ টাকা কাবিন। যা একজন লোকের পক্ষে দেয়াটা অনেকটাই অসম্ভব। তৃতীয়ত বিয়ের পরও মেয়েটার বাহিরের বন্ধুদের সাথে অবাধ মেলা মেশা। তাই এই বিয়ের শেষ পরিণতি এতটা ভয়াবহ।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ফরিদ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
ভারতীয় অপসংস্কৃতি যদ দিন বন্ধ হবে না ততদিন ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা শুনতে পাবো যা কখনো কল্পনা করায় যাইনি স্ত্রীর বেপরোয়া ডাঃ আত্মহত্যা, কবে পরকীয়া প্রেম করে, নিজে ছেলে কে হত্যার করে,পরিবারে ঝুঁকি করে,শাশুড়ি নির্যাতন করে, স্বামী বর্তমানে জীবিত থাকার পরের ও একা দিক পরকীয়া প্রেম করে তা শিক্ষা দেন। পুরুষের লিঙ্গ কাটলেন কিছু দিন আগে
Total Reply(0)
MD Mamun Hawladar ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
দেশে এখনও পুরুষ নির্যাতনের আইন করা হয়নাই কত পুরূষ নিরবে মরন যন্তনা সয়ে যায়
Total Reply(0)
Muhammad Jainal Abedin ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
স্ত্রীর পরকীয়া ধরা পরার স্বামীর আর কিইবা করার আছে? ...মার্কা আইনে পুরুষের জন্য কোনো সমাধান রাখেনি। নারী অন্যায়ভাবে পুরুষকে ছেড়ে দিলে তা হয় তার চয়েজ। আর পুরুষ ন্যায়ভাবেও নারীকে ছেড়ে দিলে তা হয় নির্যাতন।
Total Reply(0)
Lamia Tabassum Labanno ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
আত্নহত্যা কখনো কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না,
Total Reply(0)
Furkan Ahmed ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
পুরুষ মানুষ বড় অসহায়।না পারে কয়তে না পারে শয়তে।তারপরও আত্মহত্যা মহাপাপ।
Total Reply(0)
Pranto ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
ডাঃ অাকাশের টাইমলাইনে তো উনি লিখছেন ওনাদের রিলেশন ৯বছরের অার উনি বিয়ের অাগেই জানতে পেরেছিল যে তার বউ অন্য ছেলেদের সাথে সেক্সের সম্পর্কে জড়িয়ে অাছে। যে মেয়ে ৯ বছর ধরে চলা ভালোবাসার সম্পর্ক বাদ দিয়ে অন্য ছেলের সাথে সেক্স করতে যায় তাকে দিয়ে অার যায় হোক সংসার যে হবে না এটা ডাঃ সাহেবের বুঝা উচিত ছিল। ভুল ডাঃ সাহেবেরই ছিল তাই সাজাও তাকে পেতে হয়েছে।
Total Reply(0)
Mondal Dipta ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
ডাঃ আকাশ শিক্ষিত লোক হয়েও যদি এরকম কাজ করে তাহলে কিছু করার নাই। আমাদের মনে রাখতে হবে আত্মহত্যাই সব কিছুর সমাধান নয়।
Total Reply(0)
Aynul Islam Opekha ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
আগে দেখতাম অন্যায় থাকুক আর না থাকুক স্বামীকে অনেক সম্মান করতো এবং বিনা কারণে স্ত্রীকে মারার পরেও স্বামীর ঘর ছেড়ে যেতো না কিন্তু, দুঃখের বিষয় এখন ভালবাসা দিয়েও রাখা যায় না কলঙ্কিত নারীদের। তাদের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় বললাম না।অনেক স্বামী আত্মহত্যা করতে পারে না এমন মানুষ অনেক দেখা যাচ্ছে তারা অসহায় হয়ে মরার মতো আছে। সবচেয়ে বেশী প্রবাসী কষ্টের মধ্যে আছে।
Total Reply(0)
Mejbaul Islam Supto ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
অন্তত বাবা মায়ের জন্য বেচে থাকতেন। যে বাবা মা আপনাকে সেই ছট থেকে বড় করছে। একবুক সপ্ন দেখেছিল আপনার বাবা মা। আপনি একবারও ভাবলেন না যে আপনার বাবা মায়ের কি হবে..। সন্তান সামান্য অসুসস্থ থাকলে যে মায়ের রাতে ঘুম আসেনা সে মা কেমনে আপনার লাশ বহন করবে?
Total Reply(0)
Nishu Angels ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
একজন ডক্টর হয়ে কি করে পারলেন?!! মা বাবা কতো কষ্ট করে ছেলেমেয়ে মানুষ করে আর শেষে ফেসবুকে তার মনে দুখ উজাড় করে চলে যায়, মা বাবার কি হয় সেটা কি ভাবা ও যায়না!! ওই বেয়াদব মেয়েটাকে ইনজেকশন পুশ করে জেলে থাকা ও ভালো ছিল
Total Reply(0)
Ariful Islam ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
বাংলাদেশ পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে কোন আইন নেই, এমনকি ব‌উ আরেক জনের সাথে চলে গেলেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে মামলা করতে পারবেন না।
Total Reply(0)
Rajib Kar ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
মা হারালে মা পাবে না,বাবা হারালে বাবা পাবে না,ভাই, বোন হারালে ভাই বোন পাবে না,কিন্তুু একটা বউ হারালে দশটা পেতেন, কেন একটা বাজে মেয়ের জন্য নিজেকে শেষ করলেন ভাই।
Total Reply(0)
Saddam Hossen ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
ইসলামি মূল্যবোধের অভাবে স্ত্রী পরকীয়া করল। ইসলামি মূল্যবোধের অভাবে স্বামী আত্মহত্যা করল।
Total Reply(0)
Al Mamun ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:১৭ এএম says : 0
We are going to woman empowerment. Don't try to stand against woman empowerment.
Total Reply(0)
shahid ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১৮ পিএম says : 0
I don't know,Why this type of decision come from a doctor.This is really unbelievable any one can die for a modern prostitute.Really surprised.!!!!.
Total Reply(0)
Kamrul ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ পিএম says : 0
It's really very sad news for us about Denmohor.
Total Reply(0)
Md Shohidul Islam ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ পিএম says : 0
মনে হচ্ছে, উক্ত ডাক্তার ও ডাক্তারনি দুজনই ইসলাম এর প্রকৃত শিক্ষা থেকে দূরে ছিলেন। ইসলামে জিনা ও আত্মহত্যা দুটোই মহাপাপ। এক্ষেত্রে তারা দুজন ই জঘন্য পাপী।
Total Reply(0)
সোহেল মাহমুদ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:১৯ পিএম says : 0
আমার মতে, ডা. মিতুকে প্রকাশ্যে ইট পাটকেল মেরে হত্যা করা হউক যাতে করে কোন জানোয়ার এসমস্ত পরকীয়া জনক কাজ করতে না পারে।
Total Reply(0)
Al Mamun ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:২৫ পিএম says : 0
Woman empowerment is improving, Sorry for temporary interrupt.
Total Reply(0)
মোঃ বেলায়েত হোসেন ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৩৭ পিএম says : 0
জিতে গেলো ..... আর হেরে গেলো সত্তিকারের ভালবাসা,
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন