শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

বাংলাদেশে প্রথম ইন্টারঅ্যাকটিভ শর্টফিল্ম

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত ইন্টারঅ্যাকটিভ শর্টফিল্ম ‘কিন্তু, যদি এমন হতো?’ ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। শর্টফিল্মটির বিশেষত্ব হচ্ছে, দর্শক তার ইচ্ছানুযায়ী শর্টফিল্মটিকে কয়েক ধরণের পরিণতি দিতে পারবেন। এর দৈর্ঘ্যও নির্ভর করবে দর্শকের নেয়া সিদ্ধান্তের উপর। নুসরাত ইমরোজ তিশা ও ইয়াশ রোহান অভিনীত এই শর্টফিল্মটি পরিচালনা করেছেন ইমরান ইমন ও প্রযোজনা করেছে “হাউ’স দ্যাট?” প্রোডাকশন এবং দর্শকদের জন্য শর্টফিল্মটি নিয়ে এসেছে টেকনো মোবাইল। সিনেমার প্রযুক্তির বিবর্তনের নতুন সংযোজন ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টোরি টেলিং’। এক্ষেত্রে, দর্শকদের জন্য সুযোগ থাকে গল্পের কোনো এক মুহ‚র্তে কাহিনী নিজের মতো করে নির্বাচনের। যেখানে দর্শক তার পছন্দ অনুযায়ী গল্প শেষ করতে পারবেন। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া চেক স্লোভিয়ার চলচ্চিত্র ‘কিনোঅটোম্যাট’ বিশ্বের প্রথম ইন্টারঅ্যাকটিভ চলচ্চিত্র, যা সম্প্রতি ধারণ করা হয়েছে টিভি সিরিজ ব্ল্যাক মিরর-এর ‘ব্যান্ডারস্ন্যাচ’-এ। ‘কিন্তু, যদি এমন হতো?’- এর গল্প আবর্তিত হয়েছে দু’টি আলাদা শহরে বাস করা ডাক্তার ফাহাদ ও বুশরাকে ঘিরে। দ‚রত্বের কারণে তাদের সম্পর্কের জটিলতাকে ঘিরেই শর্টফিল্মটির গল্প। ট্র্যানশন বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সিইও রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘গল্প বলার এই ইন্টারঅ্যাাকটিভ উপায়ই হতে পারে সিনেমা তৈরির নতুন ধারা। এবং টেকনো সবসময়ই চায় চমকপ্রদ কিছু করতে, যাতে দর্শকদের জন্য ব্র্যান্ডের অভিজ্ঞতাটা ভালো হয়।’ নির্মাতা ইমরান ইমন বলেন, ‘প্রতিটা ফিল্মই আসলে নতুন এক্সপেরিয়েন্স। এই শর্টফিল্মটা একটু ডিফারেন্ট, টেকনিক্যাল। অভিজ্ঞতাটা বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের জন্যই নতুন, তাই আমার টিমের সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে যেন কাজটা সবদিক দিয়ে ভালো হয়। গল্প বলার নতুন এই ধরণ আশা করি সবার ভালো লাগবে।’ তিশা বলেন, ‘ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও শূটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে শর্টফিল্মে খুব একটা কাজ করতে পারি না। কিন্তু এ শর্টফিল্মের নতুনত্বের কারণে রাজি হয়ে যাই। এখন বাকিটা দর্শকদের ওপরে। চলচ্চিত্রে গল্প বলার ধরণে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে এটা একটা দারুণ সূচনা। এ শর্টফিল্মের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত।’ ইয়াশ রোহান বলেন, ‘আমি সবসময়েই অভিনয়ের বৈচিত্রে বিশ্বাসী। ‘স্বপ্নজাল’- এর পরে এ শর্টফিল্মে দর্শকরা আমাকে নতুনভাবে খুঁজে পাবে। আমার বিশ্বাস, তারা আমার চরিত্রটি পছন্দ করবে।’ “হাউ’স দ্যাট?” প্রোডাকশন থেকে আনিস হান্নান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা সবসময়ই চাই দর্শকের জন্য নতুন এবং অভিনব কিছু নিয়ে আসতে। সম্পূর্ণ নতুন টেকনোলজির এই সিনেমা বানানোর ধারায় আমাদের পথচলা আশা করি ভালো হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন