শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বসুন্ধরাকে থামালো বিজেএমসি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ সংস্করণে উড়তে থাকা নবাগত বসুন্ধরা কিংসকে অবশেষে থামালো অপেক্ষাকৃত দূর্বল টিম বিজেএমসি। লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পাওয়া বসুন্ধরা প্রথম পয়েন্ট খোয়ালো বিজেএমসির বিপক্ষে। গতকাল নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা-বিজেএমসি ম্যাচটি গোলশূন্য অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়। এই ড্র’তে ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্র’যে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে রইলো নবাগতরা। সাত ম্যাচে তিন ড্র ও চার হারে ৩ পয়েন্ট পাওয়া বিজেএমসির জায়গা হলো দশমস্থানে।

নতুন মৌসুমে এসেই অনেকটা হইচই ফেলে দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। অভিষেক আসর ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হলেও মৌসুমের দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের সোনালী ট্রফি ঘরে তুলে তারা। এতে সবাই ধরে নেন দেশের ফুটবলে নতুন শক্তি রূপে আতœপ্রকাশ ঘটেছে বসুন্ধরার। ফলে বিপিএলে তাদের কাছে প্রত্যাশা বেড়ে যায় সমর্থকদের। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মেলবন্ধন ঠিকই ঘটাতে শুরু করেছিল দলটি। ঘরোয়া সর্বোচ্চ আসরের প্রথম ম্যাচে বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ১-০ গোলে হারানোর পর চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে তারা বিধ্বস্ত করে ৩-০ ব্যবধানে। তৃতীয় ম্যাচে আরেক নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০, চতুর্থ ম্যাচে মুক্তিযেদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ৩-১ এবং পঞ্চম ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারায় ছিল বসুন্ধরা। কিন্তু ষষ্ঠ ম্যাচে এসেই হোঁচট খেলো তারা।

কাল ম্যাচের শুরু থেকেই কেমন যেন গা-ছাড়া ভাবে খেলেন বসুন্ধরার ফরোয়ার্ডরা। ফলে গোলশূন্য প্রথমার্ধে বিজেএমসির গোলরক্ষককে তেমন কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে গিয়ে খেই হারাতে দেখা গেছে বসুন্ধরার তারকা ফরোয়ার্ডদের। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করে লিগের নবাগত দলটি। এসময় সতীর্থের বাড়ানো বলে বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস দি সিলভার হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান বিজেএমসি গোলরক্ষক সোহাগ হোসেন। ৭৭ মিনিটে বিজেএমসির নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড স্যামসন ইলিয়াসুকে ফাউল করলে বসুন্ধরার ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধূরী লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি জালালউদ্দিন। ফলে বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় বসুন্ধরাকে।

পরের মিনিটে ফরোয়ার্ড মতিন মিয়াকে তুলে নিয়ে তৌহিদুল আলম সবুজকে মাঠে নামান বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রæজন। কিন্তু এই ফরোয়ার্ডও ম্যাচের বাকি সময়ে দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্খিত গোল। ফলে শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত গোলশূণ্য অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয় খেলা।
অবশ্য নোয়াখালীর শহীদ বুলু স্টেডিয়াম নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই সফরকারী দলগুলোর। নতুন এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে খেলেছে শেখ জামাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দলগুলোর এই স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়ে শুরু থেকেই অনুযোগ ছিল। এবার অভিযোগ করলেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘পেশাদার লিগের খেলা হওয়ার মতো মাঠ নয় এটি। মাঠের মধ্যখানে ক্রিকেট পিচ। জায়গায় জায়গায় ঘাস নেই। বল রীতিমতো অধিক বাউন্স করে। এমন মাঠে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাও খেলতে পারেনি ছেলেরা।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাছাড়া আজকের (কালকের) ম্যাচে নি¤œ মানের রেফারিং হয়েছে। নাসিরের ফাউলটি হলুদকার্ড পাওয়ার যোগ্য নয়। সেখানে রেফারি জালালউদ্দিন তাকে সরাসরি লালকার্ড দেখিয়েছেন।’

এদিকে ঢাকা ভেন্যুর খেলায় নাটকীয় ড্র পেয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। কাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র প্রথমে দুই গোলে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। মুক্তির পক্ষে আইভরি কোস্টের ফরোয়ার্ড বালো ফামুসা একাই দু’গোল করেন। রহমতগঞ্জের হয়ে দু’গোল শোধ দেন কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও এবং বদলি ফরোয়ার্ড চৌমরিন রাখাইন। এই ড্র’তে ছয় ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার অষ্টমস্থানেই রইলো মুক্তিযোদ্ধা। সাত ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জ উঠে আসলো নবমস্থানে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন