মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালীর শস্যভান্ডারে অবৈধ ১৫ ইটভাটা

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম


লক্ষ্মীপুরের রামগতি বৃহত্তর নোয়াখালীর শস্য ভান্ডার এবং হাইব্রিড ফসল সয়াবিনের মাদারল্যান্ড নামে খ্যাত। বর্তমানে রামগতির মাটি আগ্রাসীদের দখলে চলে যাচ্ছে। মাটি খেকোরা খেয়ে ফেলছে কৃষকের ফসলি জমির টপ সয়েল। যার ফলে অচিরেই হারিয়ে যেতে বসেছে ফসলী মাঠ এবং শস্য ভান্ডার।
উপজেলায় ১৫টি ইটভাটা রয়েছে। চর রমিজ ও পোড়াগাছা দুটি ্ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এ সমস্ত অবৈধ ইটভাটাগুলো। হাতেগোনা ২/১টি আছে অন্য ইউনিয়নে। সবগুলো ভাটাতে রয়েছে বিশাল বিশাল লাকড়ির খামাল। আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের চোখের সামনে ইটভাটায় লাকড়ি কাটার জন্য রয়েছে অনুমোদনহীন অবৈধ করাতকল। সমিল চালানোর জন্য বিদ্যুতের পাশাপাশি আছে নিজস্ব জেনারেটর ব্যবস্থা। দিনরাত সমানতালে চলছে লাকড়ি কাটা ও পোড়ানোর মহোৎসব। এর ফলে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। সবুজ গাছপালা হয়ে গেছে লাল আর কৃষকের ফসলী মাঠ হয়ে গেছে হলদেটে বিবর্ণ। চরম হুমকির মুখে পড়েেেছ কৃষি ও জীববৈচিত্র।
অন্যদিকে ইটভাটা স্থাপনের নীতিমালাকে লঙ্ঘন করে শিশুশ্রমিক নিয়োগ, বৃক্ষ নিধন করে পরিবেশ আইনকে তোয়াক্কা না করে চালাচ্ছে অবৈধ ইটভাটা। ভাটাগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও শ্রমিকদের নেই কোন স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।
অভিযোগের বিষয়ে ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির নেতা হান্নান জানান, আমাদের ১৫টি ফিল্ডের মধ্যে ২/৩টির বৈধ অনুমোদন ও সকল কাগজ রয়েছে। বাকিগুলোর কাগজ নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক মিয়া জানান, বেআইনী কার্যক্রমকে বৈধ করার জন্য ইটভাটার মালিকরা হাইকোর্টে যায়। আদালতে আবেদন করে সে দোহাই দিয়ে তারা অত্যন্ত কূটকৌশলে অবৈধ ভাটাগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, যে কেউ অবৈধ কার্যক্রম করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:৪৩ এএম says : 0
SHORKAR ER PROSROYE SATROLIG JUBOLIG ER PANDARA JEKHANE SHEKHANE EIT ER VATA BANACHE DHANI JOMI NOSTO KORE !! R SHORKAR DEKHEO NA DEKHAR VAN KORCHE !! R MUKHE BULI DICHE DURNITI KEW KORTE PARBE NA KINTU ONAR ONEK MONTRI GOTO DOSH BOSORE 20 KHUTHI TAKAR MALIK BONESE
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন