মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বেইজিং-ইসলামাবাদকে দোষারোপ বন্ধ করুন

সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ভারতের প্রতি চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের আহ্বান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কোন প্রমাণ ছাড়া পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করা এবং একইভাবে কোন প্রমাণ ছাড়া জয়শ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) প্রধান মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির চেষ্টায় বাধা দেয়ার কথিত অভিযোগে চীনকে দোষারোপ করা বন্ধ করে ভারতের উচিত তাদের সন্ত্রাস-বিরোধী নীতি পুনর্গঠন করা। চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলেছে, ভারত আজহারের বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণ’ দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং চীন সঠিকভাবে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করেছে। আজহার ইস্যু সমাধানে ভারতকে ‘নিরব কূটনীতি’ প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয় এতে।
১৪ ফেব্রুয়ারি অধিকৃত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতীয় প্যারামিলিটারি বাহিনীর কমপক্ষে ৪৪ জওয়ান নিহত হয়েছে। জেইএম এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে বলা হচ্ছে। জাতিসংঘ ২০০২ সালে এই গ্রুপটিকে সন্ত্রাসী গ্রুপ ঘোষণা করে। কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) পিপলস ডেইলি পত্রিকার সহযোগী প্রকাশনা গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে নয়াদিল্লির অভিযোগকে নাকচ করে দেয়া হয়। নিবন্ধে বলা হয়, ‘কোন দলিল প্রমাণ ছাড়াই ভারত দীর্ঘদিন ধরে জেইএম এবং অন্যান্য জঙ্গি গ্রুপগুলোর সন্ত্রাসী হামলায় মদদ দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে এবং পাকিস্তানকে বেহিসেবী সমর্থন দেয়ার অভিযোগে চীনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হচ্ছে’।
এতে প্রশ্ন তোলা হয়: ‘অন্য দেশ, বিশেষ করে পাকিস্তান ও চীনকে দোষারোপ না করে ভারত সরকারের কি উচিত নয় তাদের সন্ত্রাস-দমন নীতির প্রশ্নে আত্মবিশ্লেষণে মনোযোগ দেয়া?
‘আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রশ্নে বেইজিং সব সময় তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলে এসেছে যে, তাকে তালিকাভুক্ত করার পক্ষে সুষ্পষ্ট প্রমাণ দিতে হবে’।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, এই ইস্যুতে সতর্কতা অবলম্বন করার পেছনে কারণ রয়েছে চীনের। ‘পর্যবেক্ষকরা উদ্বেগ জানিয়েছেন যে, আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের উপর সামরিক চাপ বাড়াতে পারে, এবং এভাবে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাবে’।
আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার ভারতীয় প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়ে চীন সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দিচ্ছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, সেটিও নাকচ করে দেয়া হয় ওই নিবন্ধে। সূত্র : এসএএম।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Masud Rana ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:৪১ এএম says : 0
Niriho manush gulo kosto pasce
Total Reply(0)
Rayhan Rafi ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:৪১ এএম says : 0
tader upor nirjaton kore India nijer bipod aro baraitese
Total Reply(0)
Zahid Hasan ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:৫২ এএম says : 0
চীন,তুরষ্ক সব সময় পাকিস্তানের পাশে থাকবে!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন