লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ফিরে পেতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীনের করা আবেদনের নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একারণে হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিট শাখার দুই কর্মকর্তাকে ডেকে নথি খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজিষ্ট্রার কার্যালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার শুনানিতে মামলার নথি উপস্থাপন করতে না পারায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এছাড়া আজ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালতে শাহীনের পক্ষে ছিলেন মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আগামী ১০ মার্চ পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে সমস্যার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সেখানেও আপিল খারিজ হয়। এরপর হাইকোর্টে রিট আবদেন করেন ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন। এ রিট আবদেনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে মামলার নথি উপস্থাপন করা হয়নি। আদালত এ সময় সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও রাশেদকে ডেকে আনেন। আদালত বেলা ২টায় নথি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। এসময় আদালত বলেন, রিমান্ডে নিলে ফাইল ঠিকই বের হবে। এরপরও বিকাল চারটা পর্যন্ত নথি উপস্থাপন করতে না পারায় আদালত পরবর্তী আদেশ দেন। শাহীনের অভিযোগ, তার প্রতিদ্ব›দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানপ্রার্থী রুহুল আমিন বাবুল মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার মামলার ফাইল গায়েব করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন