শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মেলায় ভাটার টান

অমর একুশে বইমেলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৫তম দিন ছিল গতকাল সোমবার। সাপ্তাহিক কর্মদিবসের দ্বিতীয় দিন হওয়ায় এদিনে মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল আগের তুলনায় কিছুটা কম। তবে যারা এসেছেন তারা শুধু ঘোরাঘুরিই করেননি, তাদের মধ্যে ছিলো বই কেনারও প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যার পরে বইপ্রেমীদের সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে স্টল ও প্যাভিলিয়নে কর্মরতরা।
বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীর উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় মেলাজুড়ে। আর তা ছিলো যেন বইয়ের উৎসব। এদিনের মেলা নিয়ে শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, মেলার এখন অনেকটাই শেষ সময়। এ সময়ে দর্শনার্থীর ভিড় কিছুটা কমে যায়। তবে এ সময় যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি হয়েছে।
বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বইমেলা উপলক্ষে প্রতি বছর প্রকাশিত হয় বপুলসংখ্যক বই। এর মধ্যে পাঠকপ্রিয় বইগুলোর প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে মেলা চলাকালেই প্রকাশিত হচ্ছে দ্বিতীয় সংস্করণ। সময় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রাকিবুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারই ভালোমানের বইগুলো বেশি সংস্করণ হয়। এবার অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘এক ডজন একজন’, আনিসুল হকের ‘দুষ্টু মেয়ের দল’ দ্বিতীয় সংস্করণ হয়েছে। অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও হরিশংকর জলদাসের দুটি বইয়েরও দ্বিতীয় সংস্করণ চলছে বইমেলায়। প্রকাশনাটির বিক্রয়কর্মী আলাউদ্দীন টিপু বলেন, এই দুজন লেখকের বই এবারের মেলায় বেশি এদিকে প্রকাশকরা বলছেন, এবারের মেলায় গল্প, উপন্যাস ও ও গোয়েন্দা কাহিনীর বইয়ের পাশাপাশি পাঠকদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের চাহিদাও বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণদের অনেকেই স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বই কিনছেন। প্রতিবছরই গুরুত্ব বাড়ছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বইয়ের। এ ধরনের বইগুলোর প্রতি বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভেতরে তৈরি হয়েছে অন্যরকম আগ্রহ, বাড়ছে পাঠকও।
গ্রন্থমেলা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ স্টল ও প্যাভিলিয়নে সাজানো রয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। মুক্তিযুদ্ধের অজানা ইতিহাস, যুদ্ধের প্রক্ষাপট, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকথন, যুদ্ধের ভয়াবহতা, পাকিস্তানিদের বর্বরতা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গবেষণা, প্রবন্ধ, ইতিহাস রচনা, উপন্যাস, গল্প, কবিতার বই প্রকশিত হয়েছে।
সময় প্রকাশনের প্রধান নির্বাহী ফরিদ আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থের সবচেয়ে বড় ক্রেতা তরুণ ও কিশোররা। মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক রচনার প্রতি সব বয়সী পাঠকের আগ্রহ থাকলেও নবীনদের আগ্রহের মাত্রাটা অনেক বেশি। মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মিতে লেখা উপন্যাসের চাহিদাও রয়েছে।
আগামী প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী ওসমান গনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বই শুধু ইতিহাস সংরক্ষণ করে না, জাতিকে অনুপ্রেরণাও দেয়। তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে, তাদের অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক লেখালেখির।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন