মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

হাইতিতে পুলিশ সদরদফতরে বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ৬

প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : হাইতির দক্ষিণাঞ্চলীয় পুলিশ সদরদপ্তরে বন্দুকধারীদের হামলা ও গোলাগুলি এবং এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত এক গাড়ি দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। গত সোমবার এ ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে। হাইতির দক্ষিণাঞ্চলীয় পুলিশ প্রধান লুক পিয়েরি জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত বন্দুকধারীরা গভীর রাতে উপকূলীয় শহর লেস কায়েসের সদরদপ্তরটিতে হামলা চালায়। তারা এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে একজন নিহত হয়। পিয়েরি বলেন, ভোররাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত বন্দুকধারীরা পুলিশ সদরদপ্তরটিতে হামলা চালায়, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে অনেক অস্ত্র নিয়ে যায়।
এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি। হামলাকারীরা পালানোর সময় তাদের গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়লে চার বন্দুকধারী নিহত হন। দুর্ঘটনায় আহত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ হামলার সঙ্গে ব্যর্থ একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সাবেক নেতা গাই ফিলিপ্পি জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। চলতি বছরেই যে কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন কোকেন চোরাচালান মামলার ফেরারি ফিলিপ্পি। ওই অভিযোগে তাকে ফেরারি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত সোমবারই পুলিশ দপ্তরে চালানো হামলার সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন হামলাকারী রেমি তেলিয়াস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় পুলিশ সদরদপ্তর দখলের জন্য তিনিসহ ৫০ জনের একটি দলকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ফিলিপ্পি।
পুলিশ সদরদপ্তরে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে আমি ছিলাম না, কিন্তু পুলিশ সদরদপ্তরের দখল নেয়ার জন্য গাই ফিলিপ্পি যে দলটি গঠন করেছিলেন তাদের অংশ ছিলাম আমি, বলেন তেলিয়াস। তিনি জানান, পরিকল্পনায় পুলিশ হত্যার বিষয়টি ছিল না, কিন্তু পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। হাইতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রানঅফ ভোটাভুটি না হওয়ার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা চুক্তি হয়। অস্থায়ীভাবে একজনকে প্রেসিডেন্ট মনোনীত করা হয় এই শর্তে যে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রানঅফ ভোট এপ্রিলের মধ্যে গ্রহণ করে ১৪ মে-র মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। কিন্তু এর কিছুই হয়নি, বরং সিদ্ধান্ত হয়েছে শুধুমাত্র একটি কমিশন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের ভোটাভুটি নিয়ে কারচুপির অভিযোগ পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের চাপ সত্ত্বে¡ও এ প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাইতির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল জোসেফ মার্টেলি ফেব্রুয়ারিতে কোনো নির্বাচিত উত্তরাধিকারীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়াই পদত্যাগ করলে দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃিষ্ট হয়। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন