বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মিডনাইট নির্বাচনের হোতা প্রধান নির্বাচন কমিশনার- বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:১৪ পিএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের মিডনাইট নির্বাচনের হোতা বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্যান্ডোরার বাক্স থেকে এখন আসল ঘটনাগুলো বের হতে শুরু করেছে। থলের বিড়ালকে আর বেশিদিন আটকে রাখতে পারলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। আসলে সত্যকে ঢেকে রাখলেও তাতে লাভ হয় না। সত্য কুহেলিকার আচ্ছাদন ভেদ করে বের হবেই। মিডনাইট নির্বাচনে আসল সত্যটি এখন সিইসি মুখ ফসকেই বলে ফেলেছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া দস্যুতারই নামান্তর। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সেই দস্যুতারই আচরণ করেছেন সিইসি। ইভিএম চালু হলে নাকি ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির ঝুঁকি কমবে-এমন কথা বলেছেন সিইসি।

তিনি বলেন, জনগণের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কমিশনে ইভিএম মেশিন প্রকল্প অপরিহার্যতা প্রতিপাদন করার জন্যই কি সিইসি ২৯ ডিসেম্বর রাতে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ? একটি প্রকল্পের যথার্থতা প্রমানের জন্যই আপনি কি সারাদেশের ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিলেন ? আপনার ব্রেইন চাইল্ড প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের আমানতকে আপনি কেড়ে নিলেন। আজ আপনার এবং আপনার সহচরদের মুখ দিয়েই আসল সত্যটি প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। অথচ আপনি ৩০শে ডিসেম্বরের রাত থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের ঝুড়ি ঝুড়ি গালগল্প শুনিয়েছেন মানুষকে। মিডনাইট নির্বাচনের হোতা আপনি। আদর্শগত শুন্যতার কারণে আপনি এতবড় অন্যায়টি করেছেন জনগণের বিরুদ্ধে। এটি অবৈধ সরকারের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নীতি বাস্তবায়ন করতেই আপনি মহাভোট কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করলেন। আপনার এই বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকলো জাতির কাছে। আপনি ২৯ ডিসেম্বর রাতে স্বচ্ছ জালিয়াতি ও মহাকারচুপির ভোট সেরে ফেলেছেন। তবে মনে রাখবেন-পাপ কখনও বাপকেও ছাড়ে না। আমজনতার কাছে আপনাকে জবাবদিহি করতেই হবে।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাল ভোটের অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত পরশু দিন ঢাকা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন নজীরবিহীন। ব্যাপকভাবে জালভোট প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে সাত দিনের ব্যবধান করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিএনপি প্যানেলের কমিশনার, যে ভোট গণনার দায়িত্বে থাকে, তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। তাছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে একজন কট্টর আওয়ামীপন্থী আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদলকে। নানাভাবে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা জেলা বার সমিতির নির্বাচন। সরকার এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনেও মিডনাইট ভোটের পদ্ধতি অবলম্বন করছে। সাধারণ জনগণের মতো বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতারাও এখন বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত। প্রহসনের পর প্রহসন এবং তামাশার নানা অভিনবত্ব অবলোকন করছে দেশবাসী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
ABU ABDULLAH ৯ মার্চ, ২০১৯, ৭:৫২ পিএম says : 0
ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করা যেতে পারে
Total Reply(0)
MD. SAFIQUL ISLAM ৯ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৯ পিএম says : 0
বাংলাদেশে কলঙ্কিত ইতিহাস তৈরি করেছে আওয়ামীলীগ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন