শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ওরাই আমাদের শিক্ষক ?

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

‘শিক্ষক হবেন জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উৎস, আদর্শ শাসক’ (কনফুসিয়াস)। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কার্যত গবেষক। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নন, হবেন রাষ্ট্রের সম্পদ। ক্লাসে পড়ানোর পাশাপাশি নানান বিষয়ে গবেষণা করে নতুন নতুন উদ্ভাবন করবেন, দেশকে এগিয়ে নেবেন। শিল্পকলাভিত্তিক, বিজ্ঞানভিত্তিক যে বিষয়ে গবেষণা হোক শিক্ষকদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশকে সমৃদ্ধ করে থাকে। শিক্ষকরা হবেন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ববান জ্ঞানী-গুণী-পন্ডিত। জাতি গঠনে জ্ঞান অন্বেষণ-আহরণে, মেধা বিকাশ-উন্নয়নে, শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠন, নৈতিক-মানসিক গুণাবলিতে সমাজ বিবর্তনে তারা থাকবেন অনুঘটকের ভূমিকায়। নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, শিষ্টাচার, দেশপ্রেম, নেতৃত্ব, কষ্টসহিষ্ণুতা, গণতন্ত্রীমনষ্কতা ও পরমতসহিষ্ণুতা থাকবেন বিতর্কের উর্ধ্বে। কিন্তু দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কতজনের মধ্যে সেটা দেখছি? অধিকাংশই দলদাস, মেধাহীন, চাটুকার, তোষামোদকারী ও বিকৃত চিন্তা চেতনায় ঠাসা। ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধাবী নীতিবান শিক্ষকরা ‘নেই’ হয়ে যাচ্ছেন। এখনো অনেক ভালো শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু সামনের সারিতে থাকা দলদাস সুবিধাবাদী শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে? আমাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নাসাতে চাকরি নেয়; আর দেশে উচ্চশিক্ষা নিলে চাকরির জন্য মাথা ঠুঁকে মরতে হয়!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। অথচ শিক্ষার মানদÐের বিচারে বিশ্বের এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। গেøাবালাইজেশনের এই যুগে উচ্চ শিক্ষায় বিশ্বে আমাদের অবস্থান কোথায়? বিশ্বের দেশে দেশে আমাদের ছেলেমেয়েরা সাফল্য দেখাচ্ছেন; এমনকি হার্ভাড, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাধর্মী কাজে পাচ্ছে সাফল্য; অথচ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একি হাল? কতজন শিক্ষক গবেষণা করে জাতিকে আলোর মুখ দেখাচ্ছেন? এর মূলে রয়েছে রাজনীতিকীকরণ! শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতার বদলে রাজনৈতিক পরিচিতিকে বেশি প্রাধাণ্য দেয়া হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দলবাজী শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে এবং শিক্ষকদের মর্যাদা তলানিতে নিয়ে গেছে।
পন্ডিতদের মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা মস্তিষ্ককে শাণিত করে। শাণিত মস্তিষ্ক আর সময়োপযোগী জ্ঞান দ্বারা ক্লাসে শিক্ষার্থীকে পাঠদান করেন আদর্শ শিক্ষক। সে জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিতে গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা শর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে! মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নকল গবেষণা পত্র জমা দিয়ে পিএইচডি ডিগ্রী নিয়েছেন। ঢাবিতে এ নিয়ে অনেক কেলেঙ্কারী ঘটেছে।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক মেধাবী যোগ্য এবং গবেষক শিক্ষক রয়েছেন। তারা দেশের জন্য অবদান রাখছেন। কিন্তু দলবাজ শিক্ষক! ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর হঠাৎ টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখা যায় ব্রেকিং নিউজ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রক্তাক্ত’। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মারামারি করে একে অন্যের মাথা ফাটিয়েছেন। জ্ঞানতাপসরা সহকর্মীর মাথা ফাটায়! ক্ষমতাসীন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল হিসেবে পরিচিত ‘নীল দলের’ সভায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামালউদ্দীনের মাথা ফাটিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শাহ মো. মাসুম ও ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র। তিন শিক্ষকের কিলঘুষিতে এক শিক্ষক রক্তাক্ত। ঢাবির একটি হলের প্রভোস্ট ও তার স্বামী একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের ভিসির মধ্যে ঢাবির টিএসসিতে চুলোচুলির দৃশ্য এখনো শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে শোনা যায়। হায়রে শিক্ষক! এই হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দলদাস শিক্ষকদের নৈতিকতার মানদন্ড। আদর্শ, নীতি নৈতিকতার ধারের কাছেও এরা নেই; দলীয় কিছু সুযোগ-সুবিধা, ভিসি, ডিন, বিদেশী দূতাবাসে চাকরি, অবসরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান, ব্যাংকের চেয়ারম্যান, নিদেনপক্ষে কর্পোরেশন-অধিদপ্তর-পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পাওয়ার লোভে ‘বিবেক বন্ধক’ রাখতে দ্বিধাবোধ করেন না। এরা দলবাজ, বিবৃতিবাজ হিসেবে পরিচিত। বছরের পর বছর বিদেশে অবস্থান করেও নিয়মিত বেতন নিয়েছেন এমন শিক্ষকের সংখ্যাও কম নয়।
এখন চলছে সর্বত্রই দলীয়করণের যুগ। জনগণ ভোটের অধিকার হারিয়েছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগে মেধার বদলে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। যখন যে দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তখন সে দলের নেতাকর্মী সমর্থক ও অনুগতরা নিয়োগে প্রাধান্য পাচ্ছেন। বর্তমান অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সকলেই ক্ষমতাসীন দলের হয় সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী নয়তো একান্ত বাধ্যগত ও অনুগত। ভিসি নিয়োগে কোনো নিয়ম বাধ্যবাধকতা মানা হচ্ছে না। যার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব নেই। গুরুত্ব পায় কে কত বড় দলীয় অনুগত এবং বাধ্যগত সেটা প্রমাণে চলে শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। আত্মসম্মানবোধ যেন হারিয়ে গেছে। এটা সুশিক্ষা নাকি কুশিক্ষা আল্লাহ জানেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যে প্রভোস্ট নিয়োগ দেয়া হয় বসবাসরত ছাত্রছাত্রীদের দেখভালের জন্যই। অথচ রোকেয়া হল ও মৈত্রী হলের প্রভোস্টদের কর্মকাÐ কি সেটা বলে? প্রভোস্টদের আচরণে দেখা যায় তারা ‘হলের রাজা’ আর হলে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা তাদের ‘অনুগত প্রজা’। হলগুলোর ‘গণরুম’ এবং ‘গেস্ট রুম’ এ যে অমানবিকতার চিত্র মিডিয়ায় প্রকাশ পাচ্ছে সেগুলো নিয়ে কী হল প্রভোস্টরা কিছু করেছেন? নাকি ছাত্রদের আনুগত্যে থেকে নিজেদের পদ ধরে রাখতে নীরব দর্শক হয়ে রয়েছেন?
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রার্থীদের কোনো পোলিং এজেন্ট ছিল না। শিক্ষকরাই সব দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের প্রতি আস্থা রেখেই কেউ প্রার্থী হন কেউ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু বিগত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মতোই ডাকসুতে ছাত্রছাত্রীদের ভোট দিতে বাধার সৃষ্টি করা হয়। নির্বাচনের দিন সকালে হলে হলে ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সবাইক অবাক করে কর্তৃপক্ষ আগের রাতেই হলে হলে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়। পরিণতি রাতেই ব্যালটে সিল! মৈত্রি ও রোকেয়া হলে সিলযুক্ত ব্যাটল বাক্স উদ্ধার, প্রার্থীদের মারধোর, অনিয়ম-কারচুপির ঘটনায় বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন উত্তাল। ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ ছাড়া নির্বাচিত ভিসি নূরসহ সব প্যানেলের প্রার্থীরা ৩১ মার্চের মধ্যে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার! কর্তৃপক্ষের দৃঢ় অবস্থান রেজাল্ট ঘোষণার পর নিয়মের বাইরে তারা যাবেন না। কিন্তু ভোটের নিয়ম কি ব্যালট সিলমারা, ভোটারদের ভোটে দেয়ার বাধার সৃষ্টি করে কৃতিম লাইন দিয়ে সময়ক্ষেপণ করা ছিল?
২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের সময়ে বেসরকারি টিভির সচিত্র প্রতিবেদন, পত্রিকার খবর ও শিক্ষকদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে গোটা চিত্র উঠে এসেছে। বিজ্ঞানের বদৌলতে শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, বøগ ও টুইটারের যুগে কোনো কিছুই গোপন করা সম্ভব নয়। দেশবাসী নির্বাচনের গোটা চিত্রই দেখেছে। নির্বাচনে কারচুপিতে অস্বস্তি প্রকাশ করে নির্বাচনের রিটানিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আমি বিব্রত। এই অনিয়ম ও কারচুপির দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তারা দায় এড়াতে পারেন না। উল্টো কথা বলেছেন ঢাবি ভিসি প্রফেসর মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ দেখে তিনি দারুণ খুশি ও আনন্দিত। ভোট কেন্দ্রে সিলযুক্ত ব্যালট বাক্স উদ্ধার, অনিয়ম-কারচুপিকে পাত্তা না দিয়ে তিনি বলেছেন, ছাত্রছাত্রীরা গণতন্ত্রের প্রতি এতো আন্তরিক তা দেশে আমি মুগ্ধ। তাহলে কার কথা সঠিক? কয়েকজন শিক্ষক নির্বাচনের দিন স্বেচ্ছাসেবী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তারা ভোটের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, নির্বাচনের অনিয়মের ঘটনাগুলো আমাদের খুবই লজ্জিত করেছে। এই ঘটনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাবমর্যাদাকে বিনষ্ট করেছে। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। ডাকসু নির্বাচন সফলভাবে না করতে পারার ব্যর্থতার দায়ভার প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষক এবং সমগ্র শিক্ষক স¤প্রদায়ের নৈতিকতার মানদন্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা ছাত্রদের এস এম হল, সূর্য সেন হল, মুহসীন হল, এফ রহমান হল, শহীদুল্লাহ্ হল এবং ছাত্রীদের রোকেয়া হল ও কুয়েত মৈত্রী হল পরিদর্শন করে অনিয়মের হালফিল চিত্র তুলে ধরেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের অনুগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দাবি করেছে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ভোটের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়। তারা দাবি করেন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটানকে অনাকাক্সিক্ষত এবং রোকেয়া হলের ঘটনাকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে অবিহিত করেছেন। এই শিক্ষকদের কয়েকজন টিভির টকশো ও পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে কারচুপি, ব্যালট বাক্স ভর্তি, অনিয়মকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ হিসেবে অবিহিত করেন। টিভি চ্যানেলগুলো লাইভ অনুষ্ঠানে একদিকে ব্যালট উদ্ধার, প্রার্থীকে মারধোর, অনিয়মের চিত্রগুলো তুলে ধরা হয়; অন্যদিকে ওই শিক্ষকদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সচিত্র প্রতিবেদন দেখেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সেগুলো সঠিক নয় মন্তব্য করেন। শিক্ষকদের এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক হচ্ছে এবং শিক্ষকদের সম্পর্কে এমন সব মন্তব্য করা হচ্ছে যা মুদ্রিত আকাশে প্রকাশের অযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে চিনের প্রাচীন নেতার কনফুসিয়াসের উক্তি ভাবসম্প্রসারণ করলে দাঁড়ায় শিক্ষকরা হচ্ছেন সভ্যতার অভিভাবক, সমাজের অভিভাবক। শিক্ষা যদি হয় আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার; তাহলে শিক্ষক হচ্ছেন তার সুনিপুণ কারিগর। শিক্ষা ছাড়া আলোকিত মানুষ সৃষ্টি সম্ভব নয়। শিক্ষকদের কাজে দায়বদ্ধতা আছে; এই দায়বদ্ধতা ছাত্র-সহকর্মী, সমাজ, দেশ-জাতি ও আগামী প্রজন্মের কাছে। শিক্ষকরা শিক্ষা দিতে-নিতে নিবেদিতপ্রাণ সেবক। তাঁর আচার-আচরণ, মন ও মননে বটবৃক্ষের প্রতীক। শিক্ষকদের সৃজনশীলতা, সততা, দক্ষতা সবকিছুই হবে দৃষ্টান্তমূলক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন কতজন শিক্ষকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে? ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বিজ্ঞানী কুদরত-ই-খুদা, প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ, ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীসহ শত শত পন্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন; তাদের নিয়ে জাতি এখনো গর্ব করে। কিন্তু বর্তমানের ঢাবির দলদাস, চাটকুার, সুযোগ সন্ধানী সুবিধাবাদী ও বিবৃতিবাজ যে শিক্ষকরা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কান্ড করলেন তাদের কতজনকে নিয়ে জাতি গর্ব করতে পারে? তারপরও এরাই আমাদের শিক্ষক। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Khaled Ahsan ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 0
দলীয় পরিচয়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে এর চেয়ে সুষ্ঠ নির্বাচন আশা করাটা এক ধরনের বোকামি! কারন এদের কাছে দলীয় সবচেয়ে বড।
Total Reply(0)
Saiful Islam ১৫ মার্চ, ২০১৯, ২:১৯ এএম says : 0
শিক্ষিত মানুষগুলো কতটা বিবেকহীন হতে পারে তা ভিসি আখতারুজ্জামান ও ইসি নুরুল হুদাকে না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। নিউজ পেপারের কমেন্টগুলো কি এদের ছেলে-মেয়ে বা কাছের কেউ দেখে না?
Total Reply(0)
আবুল হাসেম ১৫ মার্চ, ২০১৯, ২:২০ এএম says : 0
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের নৈতিকতা যদি হয় এই নোংরা মিথ্যাচার!! তবে নিশ্চিত আমরা পুরোজাতি অন্ধকারের দিকেই হাটছি!!
Total Reply(0)
আমজাদ হোসাইন আশরাফী ১৫ মার্চ, ২০১৯, ২:২১ এএম says : 0
একজন উচ্চ শিক্ষীত ড. যদি এতোবড় মহা মিথ্যা বলতে পারে, তাহলে বলতেই হবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো একেকটা এখন ....... তৈরীর কারখানা বনে গেছে।
Total Reply(0)
Mahbub Masum ১৫ মার্চ, ২০১৯, ২:২৩ এএম says : 0
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন...দীর্ঘদিন ধরে রোগাক্রান্ত স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৃত্যু বরণ করেছে। আখতারুজ্জামানের ইমামতিতে জানাযা সম্পন্ন ও দাফনের প্রস্তুতি চলছে। ১০ মার্চ মধ্যরাত থেকে ১১ মার্চ দুপুর পর্যন্ত বাঁচার আকুতি জানিয়ে শেষ রক্ষা হলো না। ঘাতকরা ভোট ডাকাতি করতে গিয়ে হৃদপিন্ডে এমনভাবে ছুরি চালিয়েছে যে তাতেই প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯২১ সালের ১ লা জুলাই জন্মগ্রহন করেন প্রাচ্যর অক্সফোর্ড। মৃত্যুকালে অসংখ্য শুভাকাঙ্খি রেখে যান। শুভাকাঙ্খিরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
Total Reply(0)
Enayt Ullah ১৫ মার্চ, ২০১৯, ২:২৪ এএম says : 0
একজন শিক্ষক কিভাবে এত মিথ্যাচার করেন, শ্রদ্ধার জায়গাগুলা নষ্ট করে দিচ্ছে। ভোটের সারিতে দাঁড়িয়ে একেরপর এক অনাচার দেখা হচ্ছিল, আর তিনি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন ,"মাশাল্লাহ কত সুন্দর ভোট হচ্ছে" শুনে নিচু স্বরে গালি দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না
Total Reply(0)
Riyad Ashraf ১৫ মার্চ, ২০১৯, ২:২৫ এএম says : 0
কেমনে মুখ দিয়ে এমন জঘন্য মিথ্যা কথা উচ্চারণ করতে পারে, সত্যি ভাবা যায় না! বাংলাদেশই সম্ভবত এহেন অযোগ্য ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে বসে থাকে।
Total Reply(0)
Jihad Hasan Shohug ১৫ মার্চ, ২০১৯, ২:২৭ এএম says : 0
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় এ এরকম একজন মানুষ কে সবার উপরে বসিয়ে রেখেছেন সেখান থেকেই বোঝা যায় বাংলাদেশের ভবিষ্যতে বড় বড় কর্মকর্তারা কি নিয়ে আসবেন।
Total Reply(0)
অজিত ১৫ মার্চ, ২০১৯, ২:২৮ এএম says : 0
কিছু বলার নাই
Total Reply(0)
Md. Mofazzal Hossain ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১০:৪৪ এএম says : 0
This educated people are more harmful than dictator and razakar for our country and nation.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন