প্রেমের সম্পর্ক থেকে শারিরিক সম্পর্ক। অতঃপর অন্তঃসত্ত্বা। এরপর হলের কক্ষে সন্তান প্রসব করলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। সন্তান প্রসব করে লোক জানাজানির ভয়ে ট্রাঙ্কে তালাবদ্ধ করে রাখেন সন্তানটিকে। তারপর প্রসব বেদনা সহ্য করতে না পেরে মা হাসপাতালে গেলেও দীর্ঘক্ষণ অযতেœ অবহেলায় ছিল নবজাতকটি। পরে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় বাচ্চাটিকে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে। শনিবার রাত নয়টা ৪০ মিনিটে নবজাতকটি হাসপাতালে মার যায়। এই সংবাদ ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে ক্যাম্পাস জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে মা বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। এদিকে সন্তানের বাবা হিসেবে নিজেকে শিকার করে নিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়েরই ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র রনি মোল্লা। ফেসবুকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ওই সন্তানের বাবা আমি। বিষয়টি অনাকাক্সিক্ষতভাবে ঘটেছে। এ নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না।’
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা হলের আবাসিক ছাত্রী ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই হলের ৪২৬ নং কক্ষে এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন এক ছাত্রী। তিনি ওই রুমেরই আবাসিক ছাত্রী। পরে হল প্রশাসনকে প্রসব বেদনার কথা জানিয়ে বাচ্চাকে ট্রাঙ্কে তালা দিয়ে মেডিকেলে যান। পরে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেয়ে ওই রুমের একটি ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করে মেডিকেলে নেয় প্রশাসন।
রাত দশটায় এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর মোবাইলে বলেন, ‘ নয়টা ৪০ মিনিটে নবজাতকটি মারা গেছে। আর মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক (ক্রিটিক্যাল)। তবে মেয়েটি বিবাহিত কিনা এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর নিশ্চিত করতে পারেননি।
তবে অন্তঃসত্তার বিষয়টি ওই মেয়ে লুকিয়ে রখেছিলো বলে হলের বান্ধবীদের সূত্রে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন