কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলাধীন মৌকরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তলিয়ে যায়। পানি নিষ্কাষনের তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়। এ সময় মৌকরা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত মাঝিপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে এক সময় বয়ে গিয়েছিল ডাকাতিয়া নদীর একটি সরু খাল। যা লাকসাম গিয়ে ডাকাতিয়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছিল এবং এ মাঝিপাড়া গ্রামের উপর দিয়েই বড় বড় নৌকা বিভিন্ন রকমের মালামাল নিয়ে আসা যাওয়া করতো। রাতের বেলায় নৌকার মাঝিরা এ গ্রামেই নোঙ্গর করে রাত যাপন করতো বিধায় এ গ্রামের নাম হয়ে যায় মাঝিপাড়া। কালের বিবর্তনে আজ ওই খালটি বিলীন হয়ে গেছে। মৌকরা ইউনিয়নের দক্ষিণে সুরপুর পর্যন্ত এসে সরু খালটি বর্তমানে বন্ধ হয়ে যায় এবং মৌকরা ইউনিয়নের উত্তরে শামিরখিল গ্রামের ভিতর দিয়ে ডাকাতিয়া নদীর আরেকটি সরু খাল লাকসাম ডাকাতিয়া নদীর সাথে বর্তমানে প্রবাহিত আছে এ দুই সরু খালের মাঝখানে ৮/১০টি গ্রামে যেমন: তিলিপ, মাঝিপাড়া, বড়ফতেপুর, ছোট ফতেপুর, কালেম, কেশতলা, বেতাগাঁও, মৌকরা ও ময়ূরা গ্রামের আওতায় থাকা ৪০০/৫০০ একর ফসলী জমি প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যায়। এতে কৃষকরা ফসল নিয়ে সংকিত থাকে। এসব জমিনের ফসলগুলো রক্ষা করতে হলে উল্লেখিত দক্ষিণে সুরপুর, উত্তরে শামেরখিল মাঝখানে ২/৩ কিলোমিটার নতুন খাল খনন করে পুরনো খালের সাথে সংযোগ করে দিতে হবে। তাই উল্লেখিত সমস্যাটি খতিয়ে দেখে কৃষকদের ফসল রক্ষায় সুব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
দ্বীন মোহাম্মেদ
তিলিপ দরবার শরীফ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন