বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নলছিটিতে ছাত্রলীগকর্মী হত্যা মামলার আসামীর হাত পা কাটা লাশ উদ্ধার, ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ৪:৫৫ পিএম

ঝালকাঠির নলছিটিতে ছাত্রলীগকর্মী সজল হাওলাদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাইদুল ইসলাম তালুকদারের (৩০) হাত পা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার নাচনমহল বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। সাইদুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। সাইদুলের সঙ্গে তাঁর ভাগিনা রুম্মানকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মোল্লারহাট ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। রাতেই সাইদুলের বাবা আব্দুল আজিজ তালুকদার বাদী হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রবিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১৬ সালের ৩ জুলাই বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র ও মোল্লারহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী সজল হাওলাদারকে (১৮) গুলি করে হত্যা করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে নাচনমহল বাজারের দক্ষিণ পাশে সাইদুলের হাত পা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় লাশ উদ্ধার করে। সাইদুল ইসলাম তালুকদার নাচনমহল গ্রামের আবদুল আজিজ তালুকদারের ছেলে। সজল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে ছিল সাইদুল। জামিনে মুক্তি পেয়ে সে সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসে।
সাইদুলের বাড় বোন আকলিমা বেগম বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার ভাই মোল্লারহাট ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের সঙ্গে ছিল। এ কারণেই সজল হত্যা মামলায় আসামী হয়েছে। বর্তমানে চেয়ারম্যান কবিরের সঙ্গে তাঁর বিরোধ দেখা দেয়। কবিরের লোকজনই আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমার ভাগিনা রুম্মানকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতের বাবা আবদুল আজিজ তালুকদার মুঠোফেনে বলেন, আমার ছেলে কবির চেয়ারম্যানের লোক হিসেবে পরিচিত ছিল। কবিরের সঙ্গে থাকায় আমার ছেলে নানা সমস্যায় পড়ছিল। আমি তাকে কবিরের সঙ্গ ছাড়তে বলেছি। বর্তমানে কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর লোকজনই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার বলেন, সাইদুল হত্যাকান্ডের পরপরই মোল্লারহাট ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনকে আটক করা হয়। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন