শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

বিএনপির নিষ্ক্রিয়তা : একটি নিরপেক্ষ পোস্টমর্টেম

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

৩০ ডিসেম্বরের ইলেকশনের পর থেকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিশেষ করে বিএনপির তেমন কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না। সেই গতানুগতিক একটি করে প্রেস কনফারেন্স এবং প্রেসক্লাবে সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় দু’চার জন নেতার বক্তৃতা করা ছাড়া আর কোনো তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছিলো না। বিএনপির নেতারা দাবি করেন যে, বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। অথচ এই দলটি বিগত ৩ বছর থেকে ইনডোর পলিটিক্স বা ঘরোয়া রাজনীতির মধ্যেই তাদের কর্ম তৎপরতাকে সীমাবদ্ধ রেখেছে। আমরা দেখেছি একাধিক সামরিক শাসন। দেশে সামরিক আইন জারি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্ত রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন পর মিলিটারি কর্তৃপক্ষ ঘরোয়া রাজনীতি এ্যালাও করে। মনে হচ্ছে, সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলছে।
নদীতে স্রোত কমে গেলে শ্যাওলা পড়ে। রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য। ইলেকশনের পর প্রায় ৩ মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এই ৩ মাসে দলটি মোটামুটি নিষ্ক্রিয়। স্রোত বন্ধ হয়ে গেছে। তাই সেখানে শ্যাওলাও গজিয়েছে। কেন্দ্রের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও মতবিরোধ দৃশ্যমান হচ্ছে। গত কয়েক দিনে স্ট্যান্ডিং কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির নিষ্ক্রিয়তাকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। গত ২৪ মার্চ রবিবার বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন।
গত ১৯ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে গয়েশ^র রায় বলেন, দানবের রাজত্বে মানববন্ধন বেমানান। এর থেকে যাত্রা শুরু করা যায়, কিন্তু চূড়ান্ত ফল আশা করা উচিত নয়। আপনারা প্রত্যাশা করতে পারেন। কিন্তু কোনো প্রত্যাশা বাস্তবায়িত হয় না প্রচেষ্টা ছাড়া। কিছু করতে গেলে কিছু ক্ষতি হবে এ কথাটা মেনে পথ চলতে হবে। আমি নিরাপদে থাকবো, আমি মিছিলে যাবো না, আমি মামলা খাবো না, আমার সম্পদ রক্ষা করতে হবে, এই ভয় যদি আপনাদের মাঝে কাজ করে, তাহলে আমাদের নেত্রী কারাগারে থাকবে। খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না, হাসিনাকে রেখে নির্বাচন হবে না। দুটি শব্দের একটি ও কার্যকর করলেন না। হাসিনাকেও রাখলেন, খালেদা জিয়াকে জেলখানা থেকে মুক্ত না করেই নির্বাচনে গেলেন। সেই নির্বাচনে কেউ থাকলো জেলে, কেউ হাসপাতালে, কেউ বাড়িতে লুকিয়ে রইলেন, মাঠেও নামলেন না। আপনারা মুখে যা বলবেন কাজে তা করতে হবে। কারো কাছে চাওয়া নয়, দাবি আদায় করুন আপনার শক্তি, আপনার সমর্থন দিয়ে। আপনারা যদি নেতৃত্ব দিতে পারেন জনগণ আপনাদের নেতৃত্বে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত আছে।
তিনি আরো বলেন, দুধ আর তেঁতুল যদি একই ভান্ডারে রাখেন তাহলে হয়ত তেঁতুল খেতে পারবেন, দুধ আর দুধের জায়গায় থাকবে না। সুতরাং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের গণতন্ত্র, জনগণের ভোট আদায় করে আপনারা সরকার গঠন করবেন, খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, এই যে ধারণা, রাজনীতিতে এর চেয়ে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় আর কিছু হতে পারে না। সেই কারণেই আজকে বলব, এই সরকারকে বৈধকরণের জন্য আমরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছিলাম কিনা?
দুই
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কেনো এই নির্বাচনে আমরা গেলাম। কথা ছিল, নিদর্লীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না, কিন্তু তাতো হলো না। দলীয় সরকারের অধীনেই হলো। কথা ছিল, খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না। কিন্তু খালেদা জিয়া ছাড়া আমরা নির্বাচনে গেলাম। তারপরেও কেনো এই অবস্থা হলো? কেনো আজো খালেদা জিয়া জেলে? কেনো একটা দাবিও সরকার মানলো না, কী কারণে এটা হলো? এর কারণ অবশ্যই বের করতে হবে। যদি বের করতে ব্যর্থ হই আবার ব্যর্থ হব। আমার অনেক প্রশ্ন আছে আজকে এখানে করব না। দলীয় মিটিংয়ে বলব।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নাম উল্লেখ না করে আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা বলেন, আমি স্বাধীনতার ইতিহাস জানি। সে সময়ে কে যায় নাই ভারতে? আমরা সব চলে গেলাম। এনটায়ার কেবিনেট চলে গেলো। গর্ভনর হাউজে (বর্তমানে বঙ্গভবন) ইয়াহিয়া খানের সাথে শেখ মুজিবের সংলাপের সময় যে ব্যক্তি ছিল সর্বক্ষণ, সে গেলো না। তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেবের রিসেন্টলি একটা বই বেরিয়েছে। সেটা আপনারা পড়বেন। সেটাতে লেখা আছে, তার যাওয়ার কথা ছিল আমাদের সাথে। সে যায়নি। আমি নাম বলতে চাই না এই মুহূর্তে। ১৪ জুন পর্যন্ত ঢাকা থাকলেন, তারপর জিওসিকে টেলিফোন করে বললেন, আমাকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দাও। পাঠিয়ে দেয়া হলো। তার স্ত্রী একজন সিন্ধি।
তিনি বলেন, আমরা তার (ড. কামাল হোসেন) ইতিহাস জানি। বাংলাদেশে তার কোনোদিন কোনো আসন ছিলো না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এক সময়ে তিনি (ড. কামাল হোসেন) বৃদ্ধ সাত্তার সাহেবের কাছে এক কোটি ভোটে হেরেছিলেন। আমরা তাকে নেতা মানলাম। কেনো ফখরুল (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) কী দোষ করেছিল? মহাসচিব ফখরুল, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমাদের তো অন্য কারো দরকার নেই। আমাদের কারো দরকার ছিল না। আমরা যা পারি করবো, না পারলে করবো না। নির্বাচন করবো না। কিন্তু এটা কী হলো? ঠাটা পড়লো সমগ্র জাতির উপরে।
ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সংসদে যাওয়ায় সুলতান মনসুরের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তিনি আমাদের সাথে থাকলেন, আমাদের মাথায় কাঁঠাল রাইখা এখন কাঁঠাল খাচ্ছেন সংসদে বইসা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হওয়া সুলতান মো. মনসুর বলেছেন, জয়বাংলা ও জাতির জনকের বিষয়টি মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে। বিএনপিকেও রাজনীতি করতে হলে বিষয়টি মেনে নিতে হবে। গত রবিবার সুলতান মো. মনসুর নিজ নিবাচনী এলাকা কুলাউড়া উপজেলার ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের বার্ষিক মিলাদ মহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সম্ভবত ঐক্যফ্রন্টও বুঝতে পেরেছে যে, এই রকম নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকলে ফ্রন্টের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে। ফ্রন্টের সিদ্ধান্তের প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ নিয়েছেন। ৪/৫ দিন আগে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছেন। জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন যে, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগে আছেন। অতীতেও ছিলেন, এখনও আছেন। তিনি কোনো দিনও আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাননি।
যিনি প্রকাশ্যে এসব কথা বলেছেন তেমন একজন হার্ডকোর আওয়ামী লীগারকে ঐক্যফ্রন্ট থেকে কিভাবে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল? ড. কামাল হোসেন বলেন যে, সুলতান মনসুর নাকি গণফোরাম করেন। আর এখন সুলতান মনুসর বলছেন যে, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগে ছিলেন এবং এখনও আছেন। তাহলে কামাল হোসেন এমন একজন নীতিভ্রষ্ট ব্যক্তিকে নমিনেশন দিয়ে ধানের শীষ তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন কেন?
তারই নমিনেটেড আর এক ব্যক্তির নাম মোকাব্বির হোসেন।তিনিও তো শপথ নেওয়ার জন্য একপায়ে খাড়া। যাদের কাছে নীতি বা আদর্শের কোনো বালাই নাই, তারা গণফোরাম করলে করুক। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টে তাদেরকে জায়গা দেওয়া হলো কেন? এই ধরণের কার্যকলাপ, আর যাই হোক, রাজনৈতিক পরিপক্কতার পরিচয় বহন করে না।
তিন
বিএনপি ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন যে, এভাবে ঘরে বসে থাকলে তারা জনগণের আস্থা হারাবেন। তাই বিলম্ব হলেও ঐক্যফ্রন্ট একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। খবরে প্রকাশ, ২৬ মার্চ ফ্রন্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করবে। ৩০ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানব বন্ধন এবং ৩১ মার্চ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঐক্যফ্রন্টের তরফ থেকে মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদেরকে জানান যে, এপ্রিল মাসে সব কটি বিভাগীয় সদরে তারা জনসভা করবেন এবং পুনর্নির্বাচনের দাবিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। এর পর একই দাবিতে তারা জেলা সদরেও সভা করবেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ঐক্যফ্রন্ট যদি বিভাগীয় সদর এবং জেলা সদর পর্যন্ত সভা সমিতি করতে পারে এবং ঐসব কর্মসূচিতে বিএনপি যদি সক্রিয় ভাবে অংশ নেয় তাহলে বর্তমানের বন্ধ্যা ও স্থবির বিরোধী দলীয় রাজনীতিতে প্রাণ সঞ্চার হবে।
১২ বছরের বেশি হয়ে গেল, বিএনপি ক্ষমতায় নাই। এর মধ্যে ১০ বছর হলো বিএনপি বিরোধী দলে। আমার মনে হয়, যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না। সরকারে গেলে আওয়ামী লীগ কেমন হবে, এসম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই ছিল না। তবে যারা বয়স্ক তারা দেখেছেন, ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ কি আচরণ করে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮- এর মধ্যে ১৯৫৪ সালের পর দলটি সাবেক পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) ক্ষমতায় ছিল কিছু দিন। আর ১৯৫৬ সালের পর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় ছিল ১৩ মাস। এই সময়গুলিতে বিরোধী দলের প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কি আচরণ করেছে সেটি বয়স্ক বা প্রবীণ ব্যক্তিরা ভালভাবে বলতে পারবেন। আজ যারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তারা অনেকে ঐ সব দৃশ্য দেখেননি। আর অন্যেরা গভীরভাবে পড়াশোনা করেননি। কি অবস্থার পটভূমিতে এবং কি অবস্থার মধ্য দিয়ে ভাসানী ন্যাপের জন্ম হয়েছে সেটি বিএনপির সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাই জানেন না। যদি জানতেন তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে এত হালকাভাবে গ্রহণ করতেন না। যদি জানতেন তাহলে নিজেদের সংগঠনকে অন্যভাবে গড়ে তুলতেন। এখনও সময় আছে, ঐ সময় গুলির রাজনৈতিক ইতিহাস পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে নেওয়ার। এটি দেশের জন্য মঙ্গল, আবার বিএনপির নিজের জন্যও মঙ্গল।
চার
জনগণকে বাদ দিয়ে, পল্টন ময়দান এবং রাজপথ ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র বিদেশিদের ওপর ভরসা করে থাকলে বিএনপি কোনোদিনও ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন তো পরের কথা, একটি ফরমিডেবল অপজিশনও হতে পারবে না। কিছু হলেই তারা বিদেশি মিশন প্রতিনিধিদের ডাকে। তাদের সাথে সভা করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানায়। তারা হয়তো বিএনপির কথায় লিপ সার্ভিস দেয়, হয়তো কিছুটা আশ্বাসও দেয়। আর সেই আশ্বাসে ভর করে বিএনপি মাঠ ছেড়ে ঘরে ঢোকে। ১০ বছর ধরে এই রাজনীতিই করছে বিএনপি
সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, আলোচনা সভা এবং মানববন্ধনের বাইরে নেতারা কোনো কিছু চিন্তাই করতে পারছেন না। স্বীকার করি যে, আওয়ামী লীগ সরকার কঠোর দমননীতি চালিয়ে বিএনপিকে বের হতে দিচ্ছে না। হামলা, মামলা, হুলিয়া এসব দিয়ে বিএনপির কর্মীদেরকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সারা দেশে মিছিল করার চেষ্টাও তারা নেননি কেন? সারা দেশে যদি মিছিল বের করার চেষ্টা করা হতো, পুলিশ বাধা দিতো সত্যি, কিন্তু সারা দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির শাখা রয়েছে, সকলেই যদি গণতান্ত্রিক পথে মিছিল মিটিংয়ের চেষ্টা করতো তাহলে কত হাজার লোককে সরকার গ্রেফতার করতো? আর সেই গ্রেফতার কি দেশে এবং বিদেশে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করতো না?
আমেরিকা বিএনপিকে লিপ সার্ভিস দিয়ে আসছে। ভারত কোনোদিন আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার পক্ষে থাকবে না। এই চরম সত্যটি বিএনপিকে বুঝতে হবে। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারে এক মাত্র এদেশের জনগণ। তেমনি আওয়ামী লীগকেও ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে একমাত্র এদেশের জনগণ। কিন্তু বিগত ১০ বছরে রাজনৈতিকভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে, দেশের মানুষকে সেভাবে রাজপথে নামানোর কোনো চেষ্টা হয়নি। বিদেশিদের সাথে দেন দরবার কমিয়ে এখন বিএনপিকে জনগণের সাথে দেন দরবার করতে হবে। এর আর কোনো বিকল্প নাই।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
টিটু ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
এই লেখাগুলোর সবটি কথা ১০০%সত্যি বিএনপির বুঝা উচিত বিএনপি আওয়ামিলিগের কোন কথা না শুনা উচিত
Total Reply(0)
Simon Chowdhury ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৩:০৬ এএম says : 0
বিএনপি পানি ঠিকই খাইবে, নাক দিয়া ঘুটাইয়া জল ঘোলা করিয়া তারপর খাইবে..
Total Reply(0)
আল মাহমুদ শুভ ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৩:০৬ এএম says : 0
এতবড় একটা দলের এমন করুণ পরিনতি হতাশাজনক
Total Reply(0)
MD Tomal ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৩:০৭ এএম says : 0
সংসদে গেলে বি এন পি নিমকহারাম হিসাবে প্রতিস্ঠিত হবে।
Total Reply(0)
Junnun Mollah ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৩:০৭ এএম says : 0
বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত। কারন সংসদে গিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলুক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন