শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের ৫১ জন বিদ্রোহী ৩৬ নির্বাচিত

তৃতীয় ধাপে ৪১.৪১% ভোট পড়েছে দাবি ইসির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১৭উপজেলায় নির্বাচন শেষ। এ নির্বাচনে ৫১ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ জন। আর একটিতে জয় পেয়েছে জাতীয় পাটি। এদিকে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত করা হয় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায়। এছাড়া, ফল স্থগিত রয়েছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশে।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৪১ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। মাঠপর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য সমন্বয় করে এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা। তৃতীয় ধাপে ১ কোটি ৮২ লাখ ১ হাজার ৭৭০ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬ জন। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ ধাপে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৩টি ভোট বাতিল হয়েছে। গত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে লক্ষীপুর সদর উপজেলায় ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ উপজেলায় মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ২ হাজার ৫৬টি। ভোট পড়েছে ৯৬ হাজার ৬৮৩টি। আর সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ উপজেলায় মোট ভোটার ছিল ৭৫ হাজার ৪ জন। ভোট দিয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৮৬ জন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ৩২ জন প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন ১৬ জন।
আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হলেন, রংপুর সদরে নাছিমা জামান ববি, সাতক্ষীরা সদরে আসাদুজ্জামান বাবু, তালায় ঘোষ সনৎ কুমার, আশাশুনিতে এবিএম মোস্তাকিম, দেবহাটায় আবদুল গণি ও শ্যামনগরে এসএম আতাউল হক দোলন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন, মিরপুরে কামরুল আরেফিন, ভেড়ামারায় আক্তারুজ্জামান মিঠু, কুমারখালীতে আবদুল মান্নান খান, মেহেরপুরের গাংনীতে এমএ খালেক, মাগুরা সদরে আবু নাসির বাবলু, বরিশালের উজিরপুরে আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু, বাবুগঞ্জে কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, ঝালকাঠি সদরে খান আরিফুর রহমান, রাজাপুরে মো. মনিরুজ্জামান ও কাঁঠালিয়ায় মো. এমাদুল হক মনির, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ইয়াছির মিয়া ও ভৈরবে সায়দুল্লাহ মিয়া, লক্ষীপুরের রামগঞ্জে মনির হোসেন চৌধুরী, রায়পুরে মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, বোয়ালখালীতে নূরুল আলম ও বাঁশখালীতে চৌধুরী মো. গালিব, মাদারীপুরের রাজৈরে মোতালেব মিয়া, মানিকগঞ্জের ঘিওরে হাবিবুর রহমান ও দৌলতপুরে নুরুল ইসলাম রাজা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাব্বুল হোসেন। শরীয়তপুরের ছয়টি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলায় নির্বাচনের আগে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এরা হলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলায় আবুল হাসেম তপাদার, জাজিরা উপজেলায় মোবারক আলী শিকদার, নড়িয়া উপজেলায় একেএম ইসমাইল হক, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় হুমায়ুন কবির মোল্যা ও ডামুড্যা উপজেলায় আলমগীর হোসেন মাঝি।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা মাগুরার শ্রীপুরে মাহমুদুল গণি শাহীন, মহম্মদপুরে আব্দুল্লাহেল কাফি ও শালিখায় অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে সাঈদ মেহেদী ও কলারোয়ায় আমিনুল ইসলাম লাল্টু, লক্ষীপুর সদরে একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, রামগতিতে শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল ও কমলনগরে মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বাপ্পী, বরিশালের হিজলায় বেলায়েত হোসেন ঢালী, চট্টগ্রামের চন্দনাইশে আব্দুর জব্বার চৌধুরী, কক্সবাজারের পেকুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম, মহেশখালীতে শরীফ বাদশা, রামুতে সোহেল সরওয়ার কাজল ও টেকনাফে নূরুল আলম,মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে মুশফিকুর রহমান হান্নান ও শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ফজলুর রহমান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন