মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অন্ত:সস্ত্বা স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে লাপাত্তা স্বামী

খুনের অভিযোগ পরিবারের

বোরহানউদ্দিন(ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভোলার বোরহানউদ্দিনে অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী রেখা আক্তারের লাশ হাসপাতালে ফেলে স্বামী মো. ফরিদ ও তার পরিবার পাঁচদিন ধরে লাপাত্তা হয়ে গেছেন। রেখা উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের মানিকা গ্রামের মো. কামালের মেয়ে। ফরিদ একই উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের আট নাম্বার ওয়ার্ডের বাটামারা গ্রামের মৃত গোলাম কিবরিয়ার ছেলে। নিহত রেখার পরিবারের দাবি তাকে খুন করা হয়েছে।
গতকাল রেখার বাবার বাড়িতে তার বাবা কামাল, মা পারভিন ও একমাত্র ভাই সোহাগ জানান, দুই বছর আগে নিজেদের প্রেমের সম্পর্কের জেরে পারিবারিক সম্মতিতে রেখা-ফরিদের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই-তিন মাস যেতে না যেতেই নানা অজুহাতে ফরিদ, তার মা রোশনা বেগম ও ননদ নাজমা বেগম রেখাকে মারধর করতো।
রেখা চার মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়া সত্তে¡ও ৭-৮ দিন আগে মারধর করলে রেখা বাবার বাড়িতে চলে আসে।ঘটনার ৩ দিন আগে রেখাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে স্বামীর বাড়ি পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে রেখার স্বামী ফরিদ তার শাশুড়ি পারভিন বেগমকে রেখা অসুস্থ জানিয়ে হাসপাতালে আসতে বলেন। রেখার বাবা ও ভাই বাড়িতে না থাকায় পারভিন বেগম এক প্রতিবেশীকে নিয়ে হাসপাতালে যান। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে ফরিদ ও তার পরিবারের কাউকে খুঁজে পাননি। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পান। এক পর্যায়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। রেখার গলায় কালো গভীর দাগ ছিলো বলে তিনি জানান। রেখাকে গোসল করিয়েছেন প্রতিবেশী লতিফা খাতুন। তিনি জানান, রেখার গলায় গভীর দাগ ছাড়াও ডান পাশের হাতে দাগ ছিলো।
ওই সময় দ্বায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মুবাশ্বির হাসান লিমন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রেখা মারা গেছে। তার গলায় ফাঁস নেবার মতো দাগ ছিলো। পুলিশ তদন্ত করলে হত্যা না আত্যহত্যা তা পরিস্কার হবে।
এদিকে সরজমিনে ফরিদের বাড়িতে তার ঘর রশি দিয়ে আটকানো দেখা যায়। বাড়িতে ফরিদ বা তার স্বজন নেই। অন্য ঘরেও কোন পুরুষ লোক পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি অসিম শিকদার জানান, রেখার মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ রেখার লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্ত শেষে লাশ রেখার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করলে শুক্রবার মরদেহ দাফন করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন