বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

উইঘুর আন্দোলন দমনে প্রভাব ফেলতে পারে তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থান

প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চীনের স্বায়ত্তশাসিত শিনজিয়াংয়ের উইঘুর অঞ্চলে সহিংস তৎপরতা দমনে ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্লেষকরা এরকমই ধারণা করছেন। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর পরই রোববার তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী মেহমেত সিমসেক ট্যুইটারে লেখেন- পরবর্তী সমস্যা মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। ভয়ের কিছু নেই। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র লু কাং শনিবার বলেন, চীন আশা করে তুরস্কে যতো শিগগির সম্ভব স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। চীন তুরস্কের ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চীনের সায়ত্বশাসিত শিনজিয়াংয়ের উইঘুর অঞ্চলের সাথে তুরস্কের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক লি উইজিয়ান বলেন, ওই অঞ্চলের ওপর তুরস্কের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো উচিত। কারণ এটা সিনো-তুর্কি সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে।
এরদোগান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ব্যাবস্থা নিয়েছেন। আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে শিনজিয়ানে চীনের সহিংসতা দমন নীতির সমালোচনা করেন।
এসআইএসইউর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ঝু ওয়েলি বলেন, সাইনো-তুর্কি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতা জোরদার হওয়া উচিত। পিকিং বিশ^বিদ্যালয়ের তুরস্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক জান তাও বলেন, তুরস্ক চীন ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়েছে।
লি বলেন, তুরস্কের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন। এ জন্য চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এরদোগান তা বুঝবেন।
রোববার খবরে বলা হয়, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ৬ হাজার লোককে আটক করা হয়েছে। দেশটির বিচারমন্ত্রী জানান, বিচারিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর জন্য তুরস্কে স্থাপিত ঘাঁটি থেকে আটক করা হয়েছে বিমান বাহিনীর এক সিনিয়র জেনারেলসহ বেশ কয়েকজনকে। এ ছাড়াও অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে আটক করা হয় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রধান সামরিক সহকারী ইয়াজিচিকেও।
ব্যর্থ অভ্যুত্থানে অন্তত ২৯০ জন নিহত ও ১৪০০ মানুষ আহত হয়। নিহতদের মধ্যে একশো জনেরও বেশি ওই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলো। খবরে বলা হয় অভ্যুত্থানটি যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারিরা চালিয়েছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গুলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি শুক্রবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলভুট কাভুসোগলুকে ফোনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং ওয়াশিংটন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। সিরিয়ায় যৌথ বাহিনীর বিমান হামলার জন্য ইনকিরলিক বিমান ঘাঁটিতে এর কোনো প্রভাব পরবে না বলে তিনি আশা করেন। গ্লোবাল টাইমস।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন