বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

নিপীড়িত কাশ্মীরিদের সহায়তা দেয়া বহাল রাখবে পাকিস্তান

ভুক্তভোগীদের সহায়তার জন্য যাতে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় সেজন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নওয়াজ শরিফের অনুরোধ

প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতীয় বাহিনীর সহিংসতায় আহত কাশ্মীরিদের চিকিৎসা-সেবা দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এছাড়া ভুক্তভোগীদের সহায়তার জন্য যাতে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় সেজন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করেছেন তিনি। গত শনিবার কাশ্মীর ইস্যুতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। অতি সম্প্রতি সার্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পাকিস্তান গিয়ে কাশ্মীর আন্দোলনে নিহত ‘সন্ত্রাসীদের’ (তার ভাষায় কথিত) শহিদ না বলতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানান ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। অন্যদিকে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান সন্ত্রাস আর স্বাধীনতার আন্দোলন এক কথা নয় বলে রাজনাথকে কাশ্মিরিদের আন্দোলনের গুরুত্বের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। সম্মেলনে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিকে মানবিক সঙ্কট হিসেবে আখ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এতে চটে গিয়ে ভারতীয় মস্ত্রী রাজনাথ সিং সম্মেলন অসমাপ্ত রেখেই দিল্লি ফিরে যান।
ভারতীয় বাহিনীর ছোড়া ছররা গুলিতে চোখ হারানো বা চোখ ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত বিশেষ চিকিৎসা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে পাকিস্তান প্রস্তুত। ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ সাধারণ, নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষকে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যন্ত হামলার লক্ষ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন নওয়াজ শরিফ। কাশ্মীরের ভুক্তভোগীদের পাকিস্তান সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে বলেও ঘোষণা দেন নওয়াজ।
এদিকে, গত মাসে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের তরুণ নেতা বুরহান উয়ানিকে গুলি করে হত্যা করার পর ভারত বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা উপত্যকা। গত চার সপ্তহের ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৫৪ কাশ্মিরী নিহত এবং আরো ৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা রাজ্যে কারফিউ জারি করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় সংবাদপত্র, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা। গত শুক্রবার ভারত অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে কারফিউ অগ্রাহ্য করে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করেছে সেখানকার স্বাধীনতাকামী জনতা। ওইসব বিক্ষোভ লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনারা গুলি চালালে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো তিন শতাধিক মানুষ। ওয়েবসাইট, পিটিআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
biplob ৮ আগস্ট, ২০১৬, ১১:৩৭ এএম says : 0
Thanks a lot to The PM of Pakistan
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন