বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সবজি ক্ষেতে কর্মব্যস্ত দিন কাটে যশোরের কিষান-কিষানীদের

শীতের কুয়াশায় ঢাকা ভোর

প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রেবা রহমান, যশোর থেকে

সবজি উৎপাদনের রেকর্ড সৃষ্টির যশোরের মাঠে মাঠে কৃষকদের পাশাপাশি কিষাণীরাও কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। তার শীতের কুয়াশা ঢাকা সকালে দল বেধে মাঠে নেমে পড়েন। একটা সময় সবজি পরিচর্যা করে ফিরে আসেন আপন ঘরে গৃহস্থালীর কাজে। দিন রাত সমানতালে পরিশ্রম করেও ক্লান্ত হন না তারা। খাজুরা এলাকার রহিমা, আকলিমার সাথে কথা হয় মাঠে কাজ করার সময়। তারা বললেন ‘সময় নেই, যা বলবেন, বলেন আমাদের অনেক কাজ। কাজ করেই আমরা আনান্দ পাই। স্বামীর কষ্ট আমরা ভাগ করে নিই।’ যশোরের বারীনগর ও খাজুরা ‘ভেজিটেবল জোন’ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ আছে শাক-সবজির বাম্পার ফলনের সুফল উৎপাদক চাষি ও ভোক্তা কেউই পান না। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে ফল ভোগ করছে মধ্যসত্বভোগীরা। সবজি আবাদ ও উৎপাদনের সাথে সরাসরি যুক্ত কৃষক ও কিষাণীরা অত্যন্ত পরিশ্রম করে থাকেন। তাদের কথা আমরা দেশের সিংহভাগ সবজির চাহিদা মিটিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের আর্থিক সচ্ছলতা আসছে না। যদি মধ্যস্বভোগীদের লাগাম টেনে ধরা যেত তাহলে আমরা লাভবান হতাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য যশোরের সবজি চাষিরাও প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় সব ধরনের সবজি যশোরে মাঠের পর মাঠ আবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে। চাষি পরিশ্রম করে সবজি উৎপাদন করে কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় উপযুক্ত মূল্য পান না। তারা বরবারই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নানাভাবে। বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে সবজি চাষিরা পিছিয়ে থাকছেন। যশোরের চৌগাছা, আমবটাতলা, চুড়ামনকাঠি এলাকার কয়েকজন সবজি চাষি জানান, আমাদের এলাকার এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে শাকসবজি আবাদ ও উৎপাদন হয় না। উৎপাদকদের কথা, সরেজমিন খোঁজ নিলেই দেখা যাবে, পাইকারি ব্যবসায়ী, ফড়িয়া ও দালালরা ট্রাক ভিড়িয়ে নামমাত্র মূল্যে সবজি ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে সবজি নিয়ে যাচ্ছে। বিক্রি করছে অতিরিক্ত মূল্যে। এর অবসান করা সবচেয়ে জরুরি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন