শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সবজি ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা চান্দিনার কৃষকের

প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কুমিল্লার চান্দিনার কৃষকরা। অতি বর্ষণের কারণে পিছিয়েপড়া সবজি চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন ঘামঝরানো পরিশ্রমে ব্যস্ত। তাদের নাওয়া-খাওয়ার পর্যন্ত ফুসরত নেই। এদিকে চান্দিনার বাজারে নতুন তরকারী ফুলকপি উঠতে শুরু করেছে। আর সেইসাথে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা চড়া দরে বাজারে বিক্রি করে নিরীহ তরকারী ক্রেতাদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সবজি চাষের জন্য উর্বর এলাকা হিসেবে চান্দিনা উপজেলার সুনাম দীর্ঘদিনের। কৃষকরা জানিয়েছেন, আগাম শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেও কয়েকদফা বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে তারা চরম অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ও আংশিক নষ্ট হয়ে যায় তাদের লাগানো সবজিক্ষেত ও বীজতলা। চারা উৎপাদনকারী চাষিরাও এবার তাদের বীজতলায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা বিক্রয় করতে পারেননি। গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া শীতকালীন সবজি চাষের অনুকূলে থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা আবারো উঠে পড়ে লেগেছেন। শ্রীমন্তপুর গ্রামের সোহেল জানান, বর্তমানে পাতাকপি ও ফুলকপি লাগাবার মৌসুম শেষ হতে চলেছে, অথচ চারা এখনো প্রস্তুত হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে মাঠ ও প্রস্তুত করা যায়নি। এজন্য বীজতলার কাজ শেষ করে মাঠ পরিচর্যার কাজ চালাচ্ছে পুরোদমে। একদিকে বীজতলা অন্যদিকে জমি প্রস্তুত কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চান্দিনার কৃষকরা। চান্দিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েকদফা অতিবর্ষণের কারণে শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। গত বছর এ সময়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, পালং শাকসহ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে উঠে যেত। তিনি বলেন, কৃষি অফিসের সার্বিক তদারকি, পরামর্শ এবং সহযোগিতায় আবারো কৃষকরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আগামী ১/২ সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেক বেশি শীতকালীন সবজির চাষ হবে চান্দিনা উপজেলায়। এদিকে চান্দিনা বাজারে নতুন তরকারী ফুলকপি উঠতে শুরু করেছে। আর সেইসাথে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা চড়া দরে বাজারে বিক্রি করে নিরীহ তরকারি ক্রেতারদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকালে চান্দিনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি পিস নতুন ফুলকপি ৬০ টাকা, বাধাকপি ৫০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুনতো তাই একটু চড়া দাম। আগামী ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে বাজারের দাম কমে আসবে বলে জানান। এদিকে বাজারের নতুন নতুন তরকারি উঠলে ব্যসায়ীরা তাদের খেয়ালখুশি মতো দাম বাড়ালেও বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। জরুরি ভিক্তিতে এলাকাবাসী বাজার মনিটরিং কমিটির প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন