শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বাফুফের সঙ্গে কাঁনামাছি!

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে যেন কাঁনামাছি খেলছে জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে তলানীর দু’দল ফেনী সকার ও উত্তর বারিধারা ক্লাব। ফলে আট দিন আগে লিগ শেষ হলেও সদ্য সমাপ্ত এ আসর থেকে কোনো দল অবনমনে গেল তা নির্ধারণ করতে পারেনি বাফুফে। রেলিগেশন দল নির্ধারণের জন্য ফেনী-বারিধারার মধ্যকার প্লে-অফের ফিরতি ম্যাচেও মাঠে আসেনি দু’দল। লিগের ২২ ম্যাচ শেষে দু’দলের সমান ১৮ পয়েন্ট হওয়ায় কারা অবনমনে যাবেÑ তা নির্ধারণের জন্য বাইলজ অনুযায়ী দু’টি প্লে-অফ ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় পেশাদার ফুটবল লিগ কমিটি। যার প্রথমটি ছিল গত বুধবার। কিন্তু ওইদিন ফেনী সকার ও উত্তর বারিধারা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুপস্থিত থাকায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে ম্যাচ রেফারি নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিট মাঠে অবস্থান করে শেষ বাঁশি বাঁজিয়ে চলে যান। পরে লিগ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিডিয়াকে বলেন,‘ লিগের বাইলজে স্পষ্ট আছে, কোনো দল কোনো খেলায় অংশ না নিলে ধরে নিতে হবে ওই দল মৌসুমের কোনো ম্যাচেই অংশ নেয়নি। তাতে অটোমেটিক ডিমোশন হয়ে যাবে তারা। যদি দলটি মাঠে না আসে তাহলে তাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। এমন আইনও রয়েছে। এর বাইরেও বাফুফের নির্বাহী কমিটি যে কোনো প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে।’ তারপরও লিগ কমিটি গতকাল প্লে-অফের ফিরতি ম্যাচের আয়োজন করে! এদিন বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেনী-উত্তর বারিধারা দ্বিতীয় প্লেÑঅফেও ঘটল একই ঘটনা। রীতি মেনে রেফরিরা মাঠে উপস্থিত হলেও দেখা নেই দু’দলের কারোই। ফলে আগের ম্যাচের মতো নির্ধারিত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে সহযোগীদের নিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান ম্যাচ রেফারি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রথম প্লেÑঅফে দু’দল মাঠে অনুপস্থিত থাকার কারণে যদি ‘অটোমেটিক ডিমোশন’ অথবা ‘বহিষ্কার’ হওয়ার মতো শাস্তির বিধান থাকে তাহলে কেন ফিরতি ম্যাচের এই আয়োজন? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাফুফে সহ-সভাপতি বাদল রাও। তিনি বলেন,‘ এই ম্যাচ আয়োজনের কোনো যুক্তিকতা দেখছি না আমি।’ শুধু তাই নয়, লিগ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম নিজেই জানেন না ফিরতি ম্যাচ সম্পর্কে। তা অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ফিরতি ম্যাচ আয়োজন সম্পর্কে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। প্রথম প্লে-অফে যারা মাঠে আসেনি কেন আবার তাদের নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের আয়োজন তা বোধগম্য নয়। তবে এটা ঠিক হলো না।’
অন্য দিকে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘নিয়ম মেনে আমরা ম্যাচ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু ফেনী-বারিধারা মাঠে আসেনি। প্রথম প্লে-অফে তারা মাঠে না আসার পর আমরা কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছি। তারা জবাব দেয়ার পর বিষয়গুলো ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে যাবে। ওই কমিটিই সব কিছু ঠিক করবে।’
বাইলজ অনুযায়ী দুই দলের অবনমন নিশ্চিত হলেও উত্তর বারিধারা ও ফেনী সকারের ভাগ্য আসলে কি রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কেননা অতীতে বাফুফের অনেক সিদ্ধান্তই বাইলজ অনুযায়ী হয়নি। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২০১৪-১৫ মৌসুমে রেফারির সিদ্ধান্ত অমান্য করে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাঠ থেকে উঠে যায় ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। নিয়ম অনুযায়ী তারা অবনমনে গেলেও এবার চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলছে না ফরাশগঞ্জ। এবার না খেললেও বাফুফে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী মৌসুমে ফিরিয়ে আনবে ফরাশগঞ্জকে। শুধু তাই নয়, এর আগে বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাবও প্রথম বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু দলটির আবেদনের প্রেক্ষিতে বাফুফে ফের তাদের প্রথম বিভাগে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।
এদিকে কাল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বিকেলে বাফুফে ভবনের সভাকক্ষে তিনি সাবিনা বাহিনীকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বলেন, ‘দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনায় তোমাদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি তোমাদের দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলনের ব্যবস্থা করব। দেশের মহিলা ফুটবলকে এগিয়ে নিতে যা যা করার দরকার তার সবই করবে আমার কমিটি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন