সরকারি স্বীকৃতি পেতে ভুয়া পরীক্ষার্থী সাজিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
ঈশ^রগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জে একটি স্কুলকে সরকারি স্বীকৃতি পেতে ভুয়া পরীক্ষার্থী সাজিয়ে সমাপনী মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি না দেখার অনুরোধ অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের। জানা যায়, উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের মুক্তারপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে কাগজপত্রে শক্ত অবস্থান দেখিয়ে সরকারি তালিকাভুক্ত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। বিদ্যালয়টি সরকারি করার খরচ বাবদ ৫ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা করে নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত রোববার থেকে অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী না থাকলেও সমাপনী পরীক্ষায় চার জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তবে এসব শিক্ষার্থী মুক্তারপুর বিদ্যালয়টির নয় বলে জানা গেছে। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে গত সোমবার উপজেলার সোহাগী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তারপুর বিদ্যালয়ের হয়ে চাঁন বাদশা, মাহিম, সুরাইয়া জেবিন (নিশি) ও ইতি বেগম নামের চার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। তবে ওই চার পরিক্ষার্থী প্রকৃত পরীক্ষার্থী নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাঁন বাদশা সেজে যে পরীক্ষা দিচ্ছে তার প্রকৃত নাম রাব্বি। সুরাইয়া জেবিন নিশি নামে যে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে তার নাম মুক্তা। তারা আপন দুই ভাই বোন। দু’জনেই পার্শবর্তী গৌরীপুর উপজেলার ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে বলে জানা গেছে।
ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবন চন্দ্র ধর জানান, মুক্তা তার বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। তবে রাব্বির বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে পারেন নি। রাব্বি ও মুক্তার মা রওশন আরা মুক্তারপুর বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরীক্ষার্থী মো. মাহিমের প্রকৃত নাম মাহির আশেক। তার বাবার নাম ইকবাল হোসেন। তার বাড়ি ভালুকাপুর বাজরাকান্দা গ্রামে। মাহির বহেরাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে। মাহিরের বাবা মুক্তারপুর বিদ্যালয়ের সভাপতি ইকবাল হোসেন ও চাচা মুক্তারপুর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন। এদিকে আরেক পরিক্ষার্থী ইতি বেগমের প্রকৃত পরিচয় জানা যায়নি। ওই সময় পরীক্ষার্থীদের বাবা-মার নাম জানতে প্রশ্ন করা হলে তারা ভিন্ন নাম বলে।
এদিকে মুক্তারপুর বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, একটি বিদ্যালয় স্থাপন করতে গেলো তো নয়ছয় করতেই হয়। বিষয়টি না দেখে সহযোগিতা চান তিনি।’ ঈশ^রগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলী সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন