জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে গত মঙ্গলবার সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব ড. মোহম্মদ সোহরাব উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাবা শামীম আকতার ও জেনারেল ম্যানেজারবৃন্দের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাধারণ বীমার অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করণের দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় সাধারণ বীমা কর্মচারী ইউনিয়নের সকল নেতৃবৃন্দ ও মতিঝিলস্থ অধিকাংশ সংস্থার সিবিএ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় আসে যে, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে ৫-১৯ বছর যাবৎ ২৫০ জন কর্মচারী দৈনিক মাত্র ১২৫/- টাকা বেতনে চাকরি করছেন। অনুরোধ ও দাবি জানানোর পরেও দাবি পূরণ না হওয়ায় সাধারণ বীমা কর্মচারী ইউনিয়ন শ্রম আদালতে তাদের চাকরি স্থায়ী করণের জন্য মামলা করে। মামলায় কর্মচারীদের পক্ষে রায় ঘোষিত হয়। কর্তৃপক্ষ উক্ত মামলার বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইবুনালে আপিল করেন। শ্রম আপিল ট্রাইবুনালের রায়ও কর্মচারীদের পক্ষে আসে। আপিল ট্রাইবুনালের রায় আসার পর কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাথে সমঝোতা হয় যে, ঐ সকল কর্মচারী তাদের কাজে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরির জ্যেষ্ঠতা ও বকেয়া দাবি করবে না মর্মে চলতি তারিখ থেকে তাদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। অতঃপর বিষয়টি সাধারণ বীমা পরিচালনা পর্ষদের ৫৪১তম বোর্ড সভায় উপস্থাপন হলে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করে। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা স্টাম্পের উপর অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন। এতে অস্থায়ী কর্মচারীদের প্রতি জনের ৭০০/- টাকা করে ব্যয় হয়।
কিন্তু ওই সমঝোতা ভঙ্গ করে পরিচালনা পর্ষদ গোপনে জরুরি বোর্ড সভা করে তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে নেয় এবং উক্ত আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। ফলশ্রæতিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী হয়নি।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি বলেন যে, যেহেতু সাধারণ বীমায় পর্যাপ্ত শূন্যপদ রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা আদালতের রায় পেয়েছেন তারা মহামান্য হাইকোর্টের রিট মামলা প্রত্যাহার করে ৭ দিনের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। ৭ দিনের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করা না হলে তিনি ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে সভাস্থলে অবহিত করে যান।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন