শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সোনালি ধানের স্বপ্ন মিশে গেছে মাটিতে

| প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোর জেলার মাঠজুড়ে চলতি মৌসুমের রোপা আমর ধানের বুকভরা স্বপ্ন এখন মাটির সাথে মিশে গেছে। লঘুচাপের কারণে সারা দেশের মতো নাটোরে অসময় লাগাতার ভারি বৃষ্টি ও তার সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় কৃষকের সবটুকু দিয়ে জন্মানো সোনালী ধানের স্বপ্ন মাটির সাথে মিশে গেছে।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় জমির পাকা, আধাপাকা, কাঁচা ধান এখন মাটিতে পড়ে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। যেগুলো খাড়া আছে, তাও আধভগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এ বছর আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবং রোগ পোকামাকরের আক্রমণ কম থাকায় মাঠজুড়ে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক থাকলেও এখন শুধু হতাশা ও আতঙ্কে ভরে গেছে। প্রায় কৃষকই বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ ও জমি লিজ নিয়ে চাষ করেছিল রোপা আমন ধান যা আর মাত্র ১৫-২০ দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে এমন সময়ই সব ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকের সাথে কথা বললে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের ধানচাষি মোস্তফা, রান্টু, হাবিবুর রহমান, রবিউল, অপূর্ব, মুনির, সোহেল রানা, সফিকুল ইসলাম বলেন, এই শেষসময়ে মাঠে ধান পড়ে যাওয়া আমাদের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। অনেক কৃষকই তাদের মূলধনটুকুও ঘরে তুলতে পারবেন না। যা আগমিতে চৈতালি ফসলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খাঁন বলছেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় সাত হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানে চাষ হয়েছিল, যা বিগত বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ। তবে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় তা বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এই প্রতিক‚ল আবহাওয়ায় তা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। গত কয়েকদিনে কিছু জমির ধানই মাটিতে হেলে পড়ে গেছে।
এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির ধান হেলে পড়েছে; যার প্রায় পাকা ধান। তবে এতে কাঁচা ধানের ফলনও কিছুটা কম হতে পারে। আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে গেলে পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে পাকা ধান কেটে নিলে তেমন ক্ষতি হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন