বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফুটপাতে দু’টি অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার কারণে ডিএনসিসি’র আইডিআইপি মেগা প্রজেক্টের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থেমে ছিলো। মূলত এই প্রজেক্টের কাজ বেগবান করতেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এ অজিয়র রহমান উচ্ছেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল গেট সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করে ডিএনসিসি›র ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এস এম অজিয়র রহমান বলেন, আমাদের এই অভিযানটি গ্রিন ঢাকা ক্লিন ঢাকা প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত নিয়মিত কার্যক্রমেরর অংশ। ফুটপাতে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, শের-ই-বাংলা নগর এলাকার সড়কের পাশে ফুটপাত নির্মাণের জন্য ডেভেলপম্যান্টের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু কিছু সুবিধাভোগী লোক এই ফুটপাত দখল করে কংক্রিট দিয়ে দু’টি দোকান ঘর তৈরি করে। এতে আমাদের এই প্রজেক্টের কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছিলো। তাই ডিএনসিসি›র উন্নয়নমূলক কাজকে ত্বরান্নিত করতে ফুটপাতের ওপর গড়ে ওঠা দু’টি স্থাপনা (দোকান) ভেঙে ফেলা হয়েছে। মেয়র আনিসুল হক দায়িত্বে আসার পর নগরীতে একটা রেডিক্যাল চেঞ্জ (বৈপ্লবিক পরিবর্তন) হয়েছে জানিয়ে অজিয়র রহমান বলেন, এই ধারা অনুযায়ী আমরা কাজ করতে পারলে দ্রæতই ‘গ্রিন ঢাকা ক্লিন ঢাকা’ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। ফুটপাত জনমানুষের ব্যবহারের জন্য। এর ওপর কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
ডিএনসিসি আইডিআইপি মেগা প্রজেক্টের সম্পর্কে নির্বাহী প্রকৌশলী (অঞ্চল-৫) মোহাম্মদ শরীফ হোসেন বলেন, এ ফুটপাতটি সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্নভাবে তৈরি করা হবে। সড়কের পাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য থাকবে প্রশস্ত ফুটপাত। এ ফুটপাতে দুই ধরনের টাইলস বসানো হবে। সম্পূর্ণ লাল রংয়ের টাইলসের একপাশে থাকবে হলুদ রংয়ের স্ট্রেট লাইন টাইলস।
এ বিশেষ টাইলসের সহায়তায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা চলাচল করতে পারবে। টাইলসের ডিজাইন থাকবে স্ট্রেট লাইন। যেখানে সামনে গিয়ে ডানে, বামে মোড় বা ঢালু নির্দেশ করতে গোল গুটি-গুটি নকশার টাইলস বসানো হবে। এতে খুব সহজেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা ফুটপাত দিয়ে চালাচল করতে পারবে। সড়কের পাশে ফুটপাতগুলো আন্তর্জাতিক মান মেনেই তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সোহরাওয়ার্দীর মাঝের রাস্তার ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ফুটপাতগুলো সরিয়ে নিচ্ছে দোকানিরা। উচ্ছেদ অভিযানের খবর শুনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে থাকা দোকানপাট খুলে সরানোর কাজ করছে তারা।
আল-আমিন নামে এক দোকানি বলেন, আমাদের প্রায় সময় এমন দৌঁড়ের ওপর ধাকতে হয়। গত রোজার সময় একবার উচ্ছেদ করেছিলো। এরপর আজ ( গতকাল বৃহস্পতিবার) উচ্ছেদের জন্য ডিএনসিসি’র লোক আসছে। কি করবো সরকারি জায়গা দোকান সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানায়, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ শেষে তারা চলে গেলে আবার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা শুরু করে দেয় এসব ব্যবসায়ীরা।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পল্লবীর সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় সাংবাদিক খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। সেখানে প্রায় ২৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মেহেদী ও তৌহিদ এলাহী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মেহেদি জানান, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার জন্য এ উচ্ছেদ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকার সকল খাল হতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করবে ঢাকা জেলা প্রশাসন। প্রতি সপ্তাহে একাধিক উচ্ছেদ পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবলি সাদিক, পল্লবী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শাহ আলম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ২০ সদস্যের একটি দল, ঢাকা জেলা প্রশাসনের ৩০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন