শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিশ্বব্যাংকের ঋণ প্রদানের প্রস্তাবে টিআইবি’র উদ্বেগ

রোহিঙ্গা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিবিধ চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে আর্থিক সহায়তার নামে অনুদানের পরিবর্তে ঋণ প্রদানের প্রস্তাবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মায়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশ্বব্যাংকে গেøাবাল কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি থেকে ঋণ গ্রহণ না করে সুদহীন অনুদান সংগ্রহের সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিশ^ব্যাংক বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিবিধ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা প্রদানের প্রচেষ্টা করছে, যা অনৈতিক, অগ্রহণযোগ্য ও উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, মানবিক বিপর্যয়ের সুযোগে সাহায্যের নামে বাংলাদেশের ওপর ঋণের বোঝা বৃদ্ধির এ উদ্যোগ বিশ^ব্যাংকের সুদ ব্যবসা স¤প্রসারেণের অংশ ছাড়া কিছুই না। এ ধরণের ঋণ গ্রহণ থেকে বিরত থেকে বিশ^ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকল আন্তর্জাতিক সূত্র থেকে সুদহীন আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রয়াস জোরদার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।
তিনি আরো বলেন, মায়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে জাতিগত নিধনের লক্ষ্যে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেয়া দশ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর অভূতপূর্ব বোঝা বাংলাদেশের একার নয়, বরং মূলত মায়ানমার সরকার ও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের।
তিনি বলেন, ক্ষমতাধর আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহের স্বার্থপ্রসূত দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনই মায়ানমার সেনাবাহিনীকে এ নৃশংসতার পথ অবলম্বনে উৎসাহিত করেছে। মায়ানমারের এ হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় কর্তৃক কোন প্রকার কার্যকর পদক্ষেপ, বিশেষ করে সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, উন্নয়ন, বাণিজ্য ও সামরিক সহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে চলমান ব্যর্থতা এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে যে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বদেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে।
ড. জামান বলেন, দশ লক্ষ গৃহহীন ও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দায় আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কেই নিতে হবে এবং বাংলাদেশের ওপর এ ধরণের অতিরিক্ত ঋণের বোঝা চাপাবার অশুভ পায়তারা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ড. জামান আরো বলেন, যদি আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের চাহিদা মেটাতে সহায়তা প্রদানে বিশ^ব্যাংকের প্রকৃত অভিপ্রায় থাকে, তাহলে ওপর অধিকতর ঋণের ভার চাপানো থেকে বিশ^ব্যাংককে বিরত থাকতে হবে। বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুততম সময়ে মায়ানমার সরকার কর্তৃক নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বিশ^ব্যাংক মায়ানমারের অন্যতম দাতা সংস্থা হিসেবে তার অবস্থানকে ব্যবহার করতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন