ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরে একটি প্রবালপ্রাচীর ঘিরে নতুন করে চীনের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় চার বছর আগে ২০১২ সালে চীন ফিলিপাইনের কাছ থেকে এটির দখল নেয়। চীনের দখলীকৃত ওই প্রবাল-প্রাচীরের মালিকানা দাবি করে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ফিলিপাইন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওই মামলার রায় হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌ অভিযানের প্রধান অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসন বলেন, এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অতীতে বড়সড় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশের মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। তাছাড়া বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নৌরুট বলে এ অঞ্চলের গুরুত্ব অত্যধিক। অবশ্য, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন এবং তাইওয়ানও একই দাবি করে আসছে। রিচার্ডসন বলেন, স্কারবোরা প্রবালপ্রাচীরের আশেপাশে চীনের গতিবিধি নজরে রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। স্কারবোরা প্রবালপ্রাচীরটি স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের উত্তরাঞ্চল এবং ফিলিপাইনের সুবিক সৈকত থেকে ১২৫ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত।
রিচার্ডসন আরো বলেন, আমার ধারণা সেখানে যুদ্ধজাহাজ বা ওই ধরনের কিছু ঘোরা ফেরা করছে। তারা সার্ভে বা ওই ধরনের কোনও কাজ করছে। ওই এলাকাটি নিয়ে উদ্বেগ আছে... যে অঞ্চলটির মালিকানা নিয়ে পরবর্তীতে দাবি পাল্টা দাবি উঠতে পারে। তবে স্কারবোরার কাছেই চীনের যুদ্ধজাহাজ ঘোরা ফেরা করছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি রিচার্ডসন। রিচার্ডসনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, ওই এলাকায় যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কারণে চীনের সমালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ তারাও সেখানে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। এটা ভ-ামি ছাড়া আর কিছু নয়। ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, তারা স্কারবোরায় চীনের কার্যকলাপের খবর পেয়েছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন