শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ঝাড়খন্ডে দুই গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫

পশু মেলায় অংশ নিতে গিয়েছিল হতভাগ্য আনসারি ও ইমতেয়াজ

প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের ঝাড়খন্ডে দুজন মুসলমান গরু ব্যবসায়ীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে গো-হত্যাবিরোধী সংগঠনের একজন কর্মীও রয়েছে। গত শনিবার হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার ঝাড়খন্ডের লাতেহার জেলায় একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই গরু ব্যবসায়ীর লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। নিহত মজলুম আনসারি (৩২) ও ইমতেয়াজ খান (১৩) বালুমাথ এলাকার বাসিন্দা। উগ্রবাদী হিন্দুরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিমরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছয় পুলিশ আহত হয়।
পুলিশের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক পাঁচজন দুই গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাতেহার পুলিশ প্রধান অনুপ বীরথারি বলেন, জোড়া খুনের সঙ্গে যে আটজন জড়িত তাদের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য তিনজন এখনো পলাতক। শিগগিরই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবে। আমরা তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। তারা ছোটখাটো ব্যবসায়ী এবং গ্রামের কৃষক। নিহতদের স্বজনরা জানান, পাশের জেলা ছাত্রায় বার্ষিক গবাদিপশু মেলায় অংশ নিতে মজলুম ও ইমতেয়াজ গত শুক্রবার সকালে ১০-১২টি গরু নিয়ে সেখানে যায়। শনিবার ভোর প্রায় ৪টা থেকে মোবাইলে তাদের আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমরা তাদের হত্যার খবর পাই। তাদের লাশ একটি গাছের সঙ্গে ঝুলছিল, শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তিন মাস আগে গরুর গোশত খাওয়া নিয়ে ওই এলাকায় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বিশ্বের মধ্যে ভারত সবচেয়ে বেশি গরুর গোশত রফতানি করে থাকে। এছাড়া গরুর গোশতের ভোক্তা দেশগুলোর মধ্যে তাদের অবস্থান পঞ্চম। যদিও হিন্দু অধ্যুষিত দেশটির বেশিরভাগ রাজ্যে গো-হত্যা নিষিদ্ধ, এর মধ্যে ঝাড়খন্ডও রয়েছে। সম্প্রতি গো-হত্যা ও গরুর গোশত ভক্ষণ করার গুঞ্জন ছড়িয়ে দেশটির উগ্রবাদী হিন্দুরা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর হামলা এমনকি হত্যা করছে। যা নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে এবং সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলোর। যদিও ঝাড়খন্ডে বিজেপি নেতা অশোক কুমার গত শুক্রবারের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটা একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। হিন্দুস্তান টাইমস, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন