শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

সাখাওয়াত হোসেন : | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উদযাপনে নানা কর্মসূচি, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পৃথক বাণী প্রদান
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। যথাযথ মর্যাদায় ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় দিনটি উদ্যাপিত হবে। দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা, বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোঃ আবদুল হামিদ গতকাল এক বাণীতে বলেন, আজ ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বানীতে প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, যে কোন বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, কর্তব্যপরায়নতা, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃংখলা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগন নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে গতকাল সোমবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব এবং উন্নত নৈতিকতার আদর্শে স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেছেন। সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার সার্বিক নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রণীত হয় জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি। এই নীতির আলোকে বর্তমান সরকার ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পু¯পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পু¯পস্তবক অর্পণ করবেন। তিন বাহিনী প্রধানগণ বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানাবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১০ জন সেনা, ১ জন নৌ এবং ১ জন বিমান বাহিনী সদস্যদের ২০১৬-২০১৭ সালের শান্তিকালীন পদকে এবং ১০ জন সেনা, ২ জন নৌ এবং ২ জন বিমান বাহিনী সদস্যদের ২০১৬-২০১৭ সালের অসামান্য সেবা পদকে ভূষিত করা হবে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিশেষ সহকারী, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন । দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কর্তৃক ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক বৈকালীন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। এ সংবর্ধনায় উল্লেখযোগ্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিত্বগণের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের ¯পীকার, প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিগণ, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টাগণ, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ, ডেপুটি স্পীকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশী রাষ্ট্রদূতগণ, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারগণ, বিচারপতিগণ, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব, মূখ্য সচিব, সংসদ সদস্য (ঢাকা এলাকার এবং প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তাগণ), বাহিনীত্রয়ের প্রাক্তন প্রধানগণ, ২০১৭ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত ও একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারীগণ, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/তাঁদের উত্তরাধিকারীগণ, উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং তিন বাহিনীর চাকুরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান নিজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/তাঁদের উত্তরাধিকারীদের অনুরূপ সংবর্ধনা প্রদান করবেন। ঢাকা ছাড়াও সাভার, বগুড়া, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, রংপুর, খুলনা এবং রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসসমূহেও সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। এদিকে, দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা, বরিশাল ও চাঁদপুরে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনী জাহাজসমূহ ২১ নভেম্বর বেলা ২টা হতে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ২০ নভেম্বর গতকাল সোমবার বাংলাদেশ টেলিভিশন রাত ৯টায় সশস্ত্র বাহিনীর পরিবেশনায় ‘‘বিশেষ অনির্বাণ’’ অনুষ্ঠান সস্প্রচার করে। আজ ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে৭টায় বাংলাদেশ বেতার ‘‘বিশেষ দুর্বার’’ অনুষ্ঠান সস্প্রচার করবে। টেলিভিশনের জন্য নির্মিত ‘‘বিশেষ অনির্বাণ’’ অনুষ্ঠানটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহেও পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সস্প্রচারিত হবে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ২১ নভেম্বর আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন