মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাবেক এমপি জামায়াত নেতা পলাতক আবু সালেহ মুহম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির রায় বুধবার (২২ নভেম্বর)।
মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।
গত ১২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হলে রায় ঘোষণার আগে ফের যুক্তি গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দুই কার্যদিবস শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ফের অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের পক্ষে ফের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। এ সময় তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি (ফাঁসি) প্রার্থনা করেন। অপরদিকে পলাতক পাঁচ আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম ও আবদুল লতিফের পক্ষে খন্দকার রেজাউল করিম খালাস চান। এর আগে প্রসিকিউশন পক্ষে ১৫ জন ট্রাইবহ্যৃনালে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষে কেউ সাফাই সাক্ষ্য দেয়নি।
গত বছর ২৮ জুন এই মামলায় তিনটি অভিযোগ (চার্জ) আমলে নিয়ে বিচার শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলায় পলাতক ৫ আসামি হলেন- জামায়াত নেতা আবদুল আজিজ, রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, নাজমুল হুদা ও আবদুর রহিম মিঞা।
তাদের বিরুদ্ধে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, আটক, অপহরণ, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, এই ছয় আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে ওই এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাটসহ একাধিক মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। আজিজসহ গাইবান্ধার এই ছয় জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর। তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ৮৭৮ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পর প্রসিকিউশন শাখায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন