শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

সার্ভিসাইটিস

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জরায়ুর নিচের অংশকে সার্ভিক্স বলে। সার্ভিক্স এর প্রদাহ হলে তাকে বলে সার্ভিসাইটিস। প্রদাহের সবচেয়ে পরিচিত কারণ জীবাণুর সংক্রমণ। সার্ভিসাইটিস ২ ধরনের। অ্যাকিউট এবং ক্রনিক। হঠাৎ তীব্র প্রদাহ হলে তাকে অ্যাকিউট সার্ভিসাইটিস বলে। দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ চলতে থাকলে তাকে ক্রনিক সার্ভিসাইটিস বলে।
সার্ভিসাইটিসে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। সবার যে একই রকম উপসর্গ থাকবে তা নয়। তবে কিছু উপসর্গ আছে যা বেশীর ভাগ রোগীরই দেখা যায়। এর মধ্যে আছে-
১। রক্ত¯্রাব। ২। তলপেট এবং যোনীর ভেতরে ব্যথা।
৩। মিলনের সময় ব্যথা
৪। সাদা¯্রাব
৫। জ্বর, অস্বস্তি
৬। পেছনের দিকে ব্যথা
বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণে সার্ভিসাইটিস হয়। এর মধ্যে আছে:
১। হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস।
২। ক্ল্যামাইডিয়া
৩। গনোরিয়া
৪। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস
এলার্জির কারণেও কিন্তু সার্ভিসাইটিস হতে পারে।
ইতিহাস শারীরিক পরীক্ষা এবং টেস্ট করে এই রোগ ডায়াগনসিস করা যায়। প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট, যোনি থেকে নিঃসৃত রসের কালচার এবং বøাড টেস্ট করে নিশ্চিত ভাবে রোগটি ধরা যায়।
সার্ভিসাইটিসের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। ব্যথা থাকলে ব্যথা কমানোর ওষুধ দিতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। খুব তীব্র অবস্থায় ক্রায়োসার্জারি এবং সিলভার নাইট্রেট দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এমন চিকিৎসা লাগে।
সার্ভিসাইটিস পরিচিত সমস্যা। এমন হলে গাইনোকোলজিস্ট এর পরামর্শ নিতে হবে। নাহলে ভবিষ্যতে ভুগতে হতে পারে।
ডা. ফজলুল কবীর পাভেল

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন