খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর বেপরোয়া চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় বন্ধে এবং চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে সর্বস্তরের মানুষ। জেলা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়।
হরতাল চলাকালে পৌর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে স্থানীয়দের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় টায়ারে আগুন দিয়েছে পিকেটাররা। এছাড়া হরতালের কারণে সকাল থেকে পৌর এলাকায় কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। বন্ধ ছিল সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।
এদিকে একই দাবীতে সকাল ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে জেলা শহরের শাপলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে হরতাল আহŸানকারীরা। মানববন্ধনে জেলা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব, খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এস.এম সফি, চেম্বার অব কর্মাস সভাপতি সুর্দশন দত্ত ও পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর বেপরোয়া চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের কারণে খাগড়াছড়ি জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে রোববার থেকে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আর এসব কারণে হুমকির মুখে পড়েছে পর্যটন শিল্প। তাই খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামটি’র পর্যটন কেন্দ্র সাজেক সড়কসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচলে নিরাপত্তা প্রদান ও ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা না হলে লাগাতার হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন