মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ শুরু

প্রতিরোধের আগুনে উত্তাল পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর অধিকৃত ভূখÐে ফিলিস্তিন ও ইহুদিবাদী ইসরাইলিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। ট্রাম্প সারা বিশ্বের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের জেরুজালেম বা বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার রাতে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ল। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত খবর পাওয়া যায়নি। ট্রাম্পের ঘোষণার আগে সারা বিশ্ব থেকে সতর্ক করা হয় যে, এ ধরনের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে দেবে। কিন্তু ট্রাম্প এসব সতর্ক বার্তা মোটেই আমলে নেননি। এরইমধ্যে গাজা উপত্যকা ও বেথলহাম শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি এবং গাজা উপত্যকায় ট্রাম্পের কুশপুত্তলিক পোড়ানো হয়েছে। এছাড়া, ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদে বেথেলহাম শহরে খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের লোকজন বড়দিন উপলক্ষে সাজানো ক্রিসমাস ট্রি’র আলোকসজ্জার সুইচ বন্ধ করে দেন। বড়দিনে আলোকসজ্জা চালু করা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার ঘটনায় প্রথম প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। বুধবার ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই রাস্তায় নেমে আসে উপত্যকার বিপন্ন মানুষেরা। রাজপথে নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। প্রতিরোধে আগুনে ফুঁসছে পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগারের জনতা। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত থেকেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সমর্থনে যেন সবাই অংশ নিতে পারে সেজন্য বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত শত শত ফিলিস্তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে করে ওই অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। গাজা শহরের মূল কেন্দ্রেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। জাতীয় পতাকা ও ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। এর আগে বুধবার জেরুজালেমকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাসকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথাও জানান। তবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার হুমকি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত মানবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, মিডল ইস্ট মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
এনায়েত ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৩:২৬ এএম says : 0
এর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা দায়ি
Total Reply(0)
F Khan ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৪:৫৬ এএম says : 0
ট্রাম্পকে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন
Total Reply(0)
Mokles Molla ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৪ পিএম says : 0
হে আল্লাহ, তুমি তোমার কুদরতি রহমত দারা ফিলিস্তানিদের হেফাজত কর।মুসলমানের পবিত্র স্থানকে রক্ষা কর
Total Reply(0)
MD Robi Mazumder ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৫ পিএম says : 0
ট্রাম্পতো এটাই চেয়েছিল। সংঘর্ষ হবে, আরবরা যুদ্ধে জড়াবে আর এই সুযোগে সে তার ইসলাম বিদ্ধেসী মনোভাবটা কাজে লাগাবে। সৌদি ..........রাতো মানুষ চিনলনা!!
Total Reply(0)
আশরাফ হোসাইন ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৫ পিএম says : 0
হে আল্লাহ,,,তুমি ফিলিস্তিনিদের রক্ষা কর এবং ইহুদীদের ধ্বংস কর।আমীন
Total Reply(0)
Mh Bakul ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ২:২১ পিএম says : 0
মূলত ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাতের মুলে হল যুক্তরাষ্ট্র। তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরা ধ্বংস হোক। তাই তারা অান্তর্জাতিক নিয়ম নিতিকে কোন তোয়াক্কা না করে এই ধরনের হটকারী সিদ্বান্ত নিয়েছে। প্রতিটা মুসলিম দেশের উচিত তাদের সাথে সম্পক্র ছিন্ন করা।
Total Reply(0)
রাফি ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:১৯ পিএম says : 0
সব কলকাটি নাড়ছে সৌদি আরব
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন