বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নৃশংস হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় নতুন মোড়

রাজস্থানে মানুষের মনে মুসলিম বিদ্বেষের বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভারতের রাজস্থানে এক মধ্যবয়সী মুসলমান ব্যক্তিকে নৃশংস হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা গত শুক্রবার এক নতুন মোড় নিয়েছে। একদিকে পুলিশ বলছে যে, হত্যাকারী আর নিহত ব্যক্তি একে অপরকে আগে থেকে চিনতই না। অন্যদিকে হত্যার কারণ হিসাবে যে লাভ-জিহাদের কথা বলেছিল ধৃত ও অভিযুক্ত খুনী, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার। এছাড়া হত্যাকারীর নৃশংসতার আরও একটি দিক আজ সামনে এসেছে। ভিডিওর একটি অংশে স্পষ্ট হয়েছে হত্যার আগে নিজের মেয়েকে কোলে বসিয়ে গেরুয়া পতাকার সামনে বসে হত্যাকারী মুসলিম বিদ্বেষী একটি লম্বা ভাষণ দিয়েছে। রাজস্থানের মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, গত নয়মাসে এ নিয়ে সে রাজ্যে অন্তত ৫টি ঘটনায় মুসলমানদের কোনও না কোনও অজুহাতে মেরে ফেলা হয়েছে, যা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর লাগাতার মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারেরই পরিণাম। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওটিতে ‘মাগো মাগো’ বলে কাকুতি জানাতে শোনা যাচ্ছে যাকে, তিনি মুহম্মদ আফরাজুল। রাজস্থানের রাজসমুন্দ জেলায় নিহত মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তি মুসলমান, যাকে ভিডিও ক্যামেরার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে গত বুধবার। গত বৃহস্পতিবার রাজসমুন্দ জেলার রাস্তার ধারে পুলিশ প্রথমে একটি অর্ধদগ্ধ লাশ পেয়েছিল। পরে ওই ভিডিও ভাইরাল হবার এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহের পর পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত করে। হত্যাকারী শম্ভুলাল রেগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু হত্যার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সে ভিডিওতে দাবী করেছিল যে জিহাদীদের ওই পরিণতিই হবে। ভিডিওটির অন্য একটি অংশে এখন স্পষ্ট হয়েছে যে হত্যার আগে অথবা পরে নিজের ছোট মেয়েকে কোলে বসিয়ে শম্ভুলাল একটি লম্বাচওড়া ভাষণ দিয়েছিল, যেখানে তার মুসলিম বিদ্বেষ স্পষ্ট। গ্রেপ্তার হওয়া শম্ভুলাল বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রসঙ্গ এনেছে, পদ্মাবতী ছবি নিয়ে বিতর্কের কথা বলেছে, আর তারপরে উল্লেখ করেছে লাভ জিহাদের- হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ঠিক যেভাবে প্রচার করে থাকে যে, হিন্দু মেয়েদের ভালবাসার জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে জেহাদে উদ্বুদ্ধ করছে কট্টর মুসলিমরা। শম্ভুলালের পিছনে উড়তে দেখা যাচ্ছে একটি গেরুয়া পতাকা। নিহত মুহম্মদ আফরাজুল আদতে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার কালিয়াচক এলাকার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তার ভাই, দুই জামাই সহ গ্রামের বহু মানুষই আফরাজুলের সঙ্গে কাজের সুবাদে রাজসমুন্দে বসবাস করেন। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন