বিশ্বের শীর্ষ ১০০ অস্ত্রনির্মাতা ২০১৬ সালে ৩৭৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। ২০১৫ সালের তুলনায় এই পরিমাণ প্রায় দুই শতাংশ বেশি। ফলে ২০১০ সালের পর গতবছরই প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে।
সুইডেন ভিত্তিক সংস্থা ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ বা সিপ্রি এই তথ্য জানিয়েছে। ১৯৬৬ সালে সুইডেনের সংসদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সারা বিশ্বের সামরিক ব্যয় ও অস্ত্র লেনদেন বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
শীর্ষ ১০০ অস্ত্র নির্মাণ কোম্পানির মধ্যে ৬৩টি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত। গতবছর যত অস্ত্র বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি বিক্রি করেছে এই কোম্পানিগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কোম্পানির নাম তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। তারা মোট ৪০.৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। এরপর আছে আরও দুটি মার্কিন কোম্পানি - বোয়িং (২৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) এবং রেথিওন (২২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার)।
জার্মান নির্মাতাদের বিক্রিও গত বছর ২০১৫ সালের তুলনায় ৬.৬ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জার্মানির তৈরি অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে
২০১৬ সালের শীর্ষ ১০০ অস্ত্র ব্যবসায়ীর তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সাতটি কোম্পানি রয়েছে। গতবছর দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্রনির্মাতারা ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। ২০১৫ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ২০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে সিপ্রি। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ ও দক্ষিণ অ্যামেরিকায় দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে নিয়মিত হুমকির কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে বলে সিপ্রির পরিসংখ্যান বলছে। সংস্থার ঊর্ধ্বতন গবেষক সিমোন ভেসেমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের অস্ত্র শিল্পের পরিধি বাড়াচ্ছে। তাছাড়া ভবিষ্যতে তারা বিশ্বের অন্যতম অস্ত্র রপ্তানিকারকও হতে চায়। ’’ সূত্র : এএফপি, ডিপিএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন