প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কওমী মাদরাসা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি এমদাদ হুসাইন সাখী ও মহাসচিব রাশেদ আল-আমীন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ডা. কালিদাস বৈদ্য লিখিত ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব’ বইটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পড়া থাকা উচিত এবং প্রত্যেক মন্ত্রী, এমপিসহ সকল বিবেকবান মানুষের পড়া থাকা উচিত। কারণ কালিদাস বৈদ্য তার ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব’ বইয়ে যা লিখেছেন, তাতে দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য এই বইয়ের কারণে যাতে কোনো ধরনের অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হতে না পারে এজন্য সবাই যেন সজাগ থাকে। ’৭১ সালের যুদ্ধের বিষয়ে বাবু কালিদাস বৈদ্য যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ অজ্ঞতা প্রসূত। ’৭১ সালের যুদ্ধের সাথে কোরআনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। বাবু কালিদাস বৈদ্য ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব’ বইয়ে সূরা তওবার ৫নং আয়াত, সূরা নিসার ৮৯নং আয়াত, সূরা আনফালের ৩৮নং আয়াত, সূরা মোহাম্মদ-এর ৪নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, ’৭১ সালে এদেশের মুসলমানরা এই আয়াতগুলো তামিল করতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছে, হিন্দুদের বাড়িঘর লুণ্ঠনের পর তা জ্বালিয়ে দিয়েছে। হিন্দু নারীদের নির্যাতনের পর ধর্ষণ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ’৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ হিন্দু হত্যা হয়নি, কোরআনের আয়াতের দোহাই দিয়ে হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করা হয়নি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কোরআনের এই আয়াতগুলো এজন্য নাজিল হয়নি।
বইয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন ভাবী প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব ২৫ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বরং পাকিস্তানের অখÐতা রক্ষার জন্য লে.জে. টিক্কা খানকে দিয়ে অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করে পুশ্চিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, যা ডাহা মিথ্যা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরিরত নি¤œপদস্থ সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই সুযোগ ভারত গ্রহণ করে পাকিস্তান ভাঙার সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করে, তা মিথ্যা। অত্যন্ত ধৃষ্টতা দেখিয়ে বাবু কালিদাস বৈদ্য তার বইয়ে লিখেছেন আমাদের মহান নেতা স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবের ৪/৫ পুরুষ আগে তারা নমঃ (চÐাল) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা সহ্যের সীমা অতিক্রম করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন