বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন রক্ষা করল ২ শিশু

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রেললাইন ভাঙা দেখে লাল মাফলার দেখিয়ে একটি তেলবাহী ট্রেনকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছে দুই শিশু। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। স্টেশনের ৪০০ মিটার পূর্ব দিকে ঝিনা রেলগেটে লাইন ভাঙা দেখে দুই শিশু উপস্থিত বুদ্ধির জোরে গলায় পেঁচানো শীত নিবারনের মাফলার দেখিয়ে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেয়। এরা হলো, ঝিনা গ্রামের সুমন হোসেনের ছেলে সিহাব হোসেন (৬) ও একই গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে টিটোন ইসলাম (৭)। শিহাব প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও টিটোন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
আড়ানী স্টেশন মাস্টার নয়ন আহম্মেদ জানান, তেলবাহী ট্রেনচালক কেএম মহিউদ্দিন দুই শিশুর মাফলার দিয়ে সিগন্যাল লক্ষ্য করেন। এর পর তিনি ট্রেন থামিয়ে দেন। এ কারণে দুই ঘণ্টা রাজশাহীর সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে রাজশাহী থেকে রেলওয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইন মেরামত করলে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুই শিশু জানায়, তারা পাশের এক ক্ষেত থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় তারা দেখে রেললাইন ভাঙা। ট্রেন আসতে দেখে তারা তাদের গলায় পেছানো লাল মাফলার দিয়ে ট্রেন থামানোর জন্য সঙ্কেত দেয়। ট্রেনচালক কেএম মহিউদ্দিন বলেন, খুলনা থেকে রাজশাহীর দিকে যাচ্চিলো তেলবাহী ট্রেনটি। পথে আড়ানী স্টেশনের একটু দূরে ঝিনা রেলগেট এলাকায় রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে ওই দুই শিশু মাফলার দিয়ে সিগন্যাল দেয়। তিনি বলেন, প্রথমে ভাবলাম থামব না, বার বার হর্ণ বাজিয়ে শিশু দুটিকে সতর্ক করার পরেও তারা বার বার ট্রেন থামানোর জন্য সঙ্কেত দিচ্ছিলো। তখন বুঝতে পারি সামনে কোনো বিপদ থাকতে পারে। এজন্য ট্রেন থামিয়ে দেই। ট্রেনটি ভাঙা স্থান থেকে ২০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেন থেকে নেমে দেখি রেললাইন ভাঙা। পরে আড়ানী স্টেশন মাস্টার নয়ন আহম্মেদকে জানানো হয়। এর দুই ঘণ্টা পর আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তেলবাহী ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আরশেদ আলী জানান, হঠাৎ ট্রেন থামিয়ে দেয়ার কারণে অবাক হই। পরে দেখি রেললাইন ভাঙা। কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তা মেরামত করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
শিপন ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৩:৫৩ এএম says : 0
ওদেরকে ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Hafeja Nama jannat ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৬:২০ এএম says : 0
ওদেরকে পুরষ্কার দেওয়া দরকার ছিল।
Total Reply(0)
MD. RAFIUL BISWS ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৭:৩৬ এএম says : 0
The Real Hero.
Total Reply(0)
skm shohel ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৭:৩৭ এএম says : 0
ওদের দুই জন কে ধন্যবাদ ওরাও দেশের সৈনিক সাবাস
Total Reply(0)
Mohammed N Islam ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৪২ পিএম says : 0
They are great hero of Bangladesh. They deserve award from highest authority.
Total Reply(0)
মোঃ আব্দুল গাফফার ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৪৭ পিএম says : 1
এই শিশুরা মহানায়ক এদেরকে মহানায়কের পুরষ্কারসহ ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঝুঁকি নিয়ে অন্যরাও এগিয়ে আসে তার জন্য এদেরকে বিরাট পুরষ্কার দেওয়া দরকার।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন