পাকিস্তান চীনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে চীনা ইউয়ান ব্যবহারের বেইজিংয়ের প্রস্তাব বিবেচনা করছে। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা এ কথা জানান। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈকি করিডোর বা সিপিইসি নামে ইসলামাবাদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সহযোগিতা পরিকল্পনার আওতায় বেইজিং ২০৩০ সাল নাগাদ পাকিস্তানে ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। ২০১৫থেকে ২০১৬ সালে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। সিপিইসির আওতায় বাণিজ্যের পরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহসান ইকবাল , তিনি সিপিইসি বাস্তবায়নেরও তদারকি করেন, এ সপ্তাহে প্রথমবারের মত প্রকাশ করেন যে চীন রেনমিনবি, আরএমবি বা ইউয়ান নামে পরিচিত তার নিজস্ব মুদ্রায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য করতে চাইছে। ইকবাল বলেন, আমরা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে আরএমবি ব্যবহারের বিষয় পরীক্ষা করে দেখছি। তিনি বলেন, চীনা মুদ্রার ব্যবহারে পাকিস্তান লাভবান হবে। তিনি ব্যাখ্যায় বলেন, অভ্যন্তরীণ ভাবে পাকিস্তানি মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান ইতোমধ্যেই দেশে সকল কাজে ব্যবহারে ইউয়ানকে অনুমোদিত মুদ্রা বলে ঘোষণা করেছে।
চীন পাকিস্তানকে সিপিইসির পাশাপাশি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় গোয়াদর বন্দর উন্নয়ন, একটি সড়ক, রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক নির্মাণ , শিল্প পার্ক, কৃষি ও পর্যটন সুবিধা উন্নয়নে সাহায্য করছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৫ সালে পাকিস্তান সফরের সময় যে সব চুক্তি স্বাক্ষর করেন তার প্রাথমিক পরিমাণ ছিল ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময়েই দু’দেশ সিপিইসি স্বাক্ষর করে। আহসান ইকবাল সোমবার ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে সিপিইসির আওতায় এক দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বিশদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি বলতে পেরে খুশি যে এ পর্যন্ত ২৭ বিলিয়ন বিনিয়োগ সংগঠিত করা গেছে। এটা মাঠপর্যায়ে বিনিয়োগ অবস্থায় আছে বা এর অর্থায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি এ বিনিয়োগকে সাম্প্রতিক কালের অন্যতম বৃহৎ সাফল্যের কাহিনী বলে আখ্যায়িত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন