স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে দূরে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ভোট হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার সাংবিধানিক অধিকারের অনেক উপরে। তাই সংবিধানের দোহাই দিয়ে যা বলা হচ্ছে সেই অজুহাত অর্থহীন, এটা একটা ধোঁকাবাজী, মানুষকে পরাধীন করে রাখার কৌশল। সেই বৃত্ত থেকে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে। গতকাল (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘জাতীয় সঙ্কট উত্তরণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, সাংবিধানিক অধিকার দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকারের বিপরীতে কোনো কিছু করা যাবে না। বাংলাদেশে কি সাধারণ নির্বাচন সংবিধানের বাইরে হয়নি? একাত্তরে কি পাকিস্তানের সংবিধান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল? তাহলে কীসের সাংবিধানিক অধিকারের কথা আজকের আওয়ামী লীগ সরকার বলছে। কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ সঠিকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এমন একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে যারা সম্পূর্ণ নির্লোভ হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এমনকি নির্বাচনের ফলাফলেও তাদের কোনো স্বার্থ থাকবে না। আর এটাই হওয়া উচিত আগামী নির্বাচনের রূপরেখা।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকারি দলের নেতারা প্রতিনিয়ত বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছেন, আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে দল শেষ হয়ে যাবে’। আমার প্রশ্ন বিএনপি ভুল করলে তো তাদের সুবিধা। তাহলে বিএনপির ভুল নিয়ে তারা কেন এত চিন্তিত? তার অর্থ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও ২০ দল অংশ না নিয়ে কোনো ভুল করেনি। আমরা নির্বাচনে না যাওয়ায় আওয়ামী লীগের মাথায় কলঙ্কের তিলক লেগেছে। যা মুছতে বিএনপিকে প্রয়োজন। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ ভোটারাধিকার চায়, গণতন্ত্র চায়। সংবিধানের দোহাই দিয়ে ধোঁকাবাজি করছে সরকার। সংবিধানের অজুহাত দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তিনি বলেন, এখন আর ৪৬ বছরের আগের ¯েøাগানে কাজ হবে না। এখন নতুন ¯েøাগান হবে ‘আজকের সংগ্রাম গণতন্ত্রের সংগ্রাম, আজকের সংগ্রাম ভোটাধিকারের সংগ্রাম’। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহŸান জানান বিএনপির এ নেতা।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সাবেক মন্ত্রী মঈন খান বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। গ্রামে-বন্দরে মানুষের সাথে কথা বললে দেখবেন তারা বলছেন- আমরা কোথায় যাচ্ছি? মিথ্যার ফুলঝুরি দিয়ে জনগণকে আর বোকা বানিয়ে রাখা যাবে না। ইনশাআল্লাহ আগামীতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ কল্যাণকর জীবন ব্যবস্থা আমরা ফিরিয়ে দেব। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ নির্বাচন হতে হবে।
ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।####
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন