হজ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ধর্মমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) ও এপিএসসহ চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় সকাল ১১টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদকৃতরা হলেন-ধর্মমন্ত্রীর পিএস ড. আবুল কালাম আজাদ, এপিএস শফিকুর রহমান শফিক, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ও আবু সাইদ। দুদক সূত্রে জানা যায়, কমিশন ১৮টি হজ এজেন্সির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দুদকের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমানকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। অনুসন্ধান চলাকালে দুদকের পুরাতন অভিযোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে আরো কিছু নতুন অভিযোগ। ২০১৬ সালের হজে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিষয়ে মোট ২২৮টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে মন্ত্রণালয়ে। যা দুদকে পাঠানো হয়েছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নভেম্বরে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। কমিটির তদন্তেও হজ ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। খুব শিগগরিই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হবে। গত ২৭ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর পল্টন এলাকায় হজ এসেন্সির অফিসগুলোতে অভিযানে যায়। দুদকের টিম রাজধানীর পল্টনে উলামা-আউলিয়া হজ গ্রæপ, সাঈদ এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও ইউরোশিয়া হজ এজেন্সিসহ চার এজেন্সির অফিসে অভিযান চালায়। অভিযানকালে একমাত্র সাঈদ এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ছাড়া অন্য এজেন্সিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ম্যানিলন্ডারিং তদন্তে দুদক: বনানীর এক ব্যবসায়ী মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তা আখতার হামিদ ভুইয়া ইতিমধ্যেই বিভিন্ন তদন্ত শুরু করেছে। ব্যবসায়ীর নাম মো. কামরুল হুদা। বনানীর ১ নম্বর রোডে ৫০ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে তার মালয়েশিয়ায় এপার্টমেন্টের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নামে বেনামে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। ওই এলাকায় একজন বাসিন্দা এসব অভিযোগ করে দুদেক আবেদন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন