শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে

প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার : ‘সামুদ্রিক ঝড়ের মুখে সুন্দরবন আমাদের জন্য একটি বিশাল রক্ষাবর্ম। কিন্তু আজ সেই সুন্দরবন তার জীবনের সর্বোচ্চ সংকটকাল অতিবাহিত করছে। যার অন্যতম কারণ হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। যেটি বাস্তবায়িত হলে অদূর ভবিষ্যতে সুন্দরবন ধ্বংসের মুখে পড়বে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণা কেন্দ্রে “বিতর্কিত ইআইএ’র ভিত্তিতে তৈরি রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন ধ্বংস করবে; সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎ চাই না; আমরা বিদ্যুৎ চাই, সুন্দরবনও চাই”Ñনাগরিক সমাজের সংলাপে এমনটাই বলেছেন বক্তারা। বাংলাদেশ নাগরিক সমাজ এই সংলাপের আয়োজন করে।
নাগরিক সংলাপে উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বাপা’র নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাপা’র সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ আব্দুল মতিন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঢাবি ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবন একটি শ্বাসমূলীয় জলাবন অর্থাৎ ম্যানগ্রোভ। এই বন ধ্বংস হলে শুধু আমরা নয়, সমগ্র বিশ^ চিরদিনের মতো অমূল্য সম্পদ হারাবে। স্বনামখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল ও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার উৎসটি চিরদিনের জন্য শেষ হবে। বায়ু দূষণ, নদীর পানি দূষণ এবং কঠিন পদার্থ দূষণ- এ গুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে প্রত্যক্ষভাবে সুন্দরবনকে ক্ষতি করবে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবহারের জন্য পশুর নদী ব্যবহার করা হবে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে নদীর পানি নেয়া ও ব্যবহারের পর তার অংশ বিশেষ গরম অবস্থায় নদীতে ফেলে দেয়ায় উভয়েই পরিবেশের ক্ষতি করবে।
নদীপথে কয়লা পরিবহনের পথে উপচে পড়া কয়লা দূষণ, শব্দ দূষণ, আলো দূষণ, নদীর নব্যতা বাড়াতে ড্রেজিং করার জন্য দূষণ ও জাহাজ দূর্ঘটনা এগুলো পরোক্ষভাবে সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে বলেও সংলাপে জানান বক্তরা।
সংলাপে কলামিস্ট ও বাপা’র নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, এটা কোন সরকারের বিরুদ্ধের বিষয় নয়, এটা কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটা জীবন-মরণের বিষয়। সুতরাং, এর জন্য আমরা আন্দোলন করবো। এখন সরকারের অপশন দুটি, একটি- সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা অন্যটি- সুন্দরবন অক্ষত রেখে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র না করা। সরকারকে এর মধ্যে যেকোন একটি বেছে নিতে হবে। দুটি এক সঙ্গে হবেনা। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন চাই, আমরা বিদ্যুৎ চাই। সবচেয়ে বেশি যেটা চাই সেটি হলো সুন্দরবন রক্ষা করতে চাই। সুন্দরবন ধ্বংস করে অন্য কিছু চাই না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন