টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আদালতে আজ সোমবার ৫ম বারের মতো আরো ৩জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছে। এ নিয়ে মামলার বাদীসহ ১৫ জনের আদালতে সাক্ষী ও জেরা সমাপ্ত হলো।
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া দুপুর পৌনে ১২ টায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। মামলার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকরী ও জব্দ তালিকার সাক্ষী মো. লিটন মিয়া, হজরত আলী ও মো. রুবেল মিয়া আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। পরে আসামী পক্ষ থেকে সাক্ষীদের জেরা সম্পন্ন করা হয়।
পরে বিচারক আগামীকাল মঙ্গলবার এই চাঞ্চল্যকর মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ডাক্তার ও অন্যান্য সাক্ষীর দিন ধার্য করেন। আদালতে সাক্ষী হজরত আলী ও রুবেল মিয়া নিহত রুপার মোবাইল আদালতে সনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।
৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন