শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দলিল নিবন্ধনের পুরোনো পদ্ধতির অবসান হচ্ছে

সংসদে প্রশ্নোত্তরে আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, দলিল নিবন্ধনের শত বছরের পুরোনো পদ্ধতির অবসান হচ্ছে। দ্রæতই আসছে ডিজিটাইলজত পদ্ধতিতে দলিল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া। দলিল নিবন্ধনের এই শত বছরের পুরোনো পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে আধুনিকায়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন স্বতন্ত্র এমপি ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুম ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সফলটওয়্যারও প্রস্তুত পর্যায়ে রয়েছে। রেজিস্ট্রি অফিসসমূহে দলিল রেজিস্ট্রির কাজ আধুনিকায়নসহ কম্পিউটারাইজ করার কার্যক্রম দ্রæত ও স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, দেশের আদালতগুলোতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০ লাখ ৯ হাজার ৭৮৯টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ১৬ হাজার ৫৬৫টি, হাইকোর্ট বিভাগে চার লাখ ৭৬ হাজার ৭৫০টি এবং অধঃস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৪টি। এ ছাড়া গত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান মোট মামলার সংখ্যা আট লাখ ৩৯ হাজার ২৮৬টি।
স্বতন্ত্র এমপি আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ভুয়া মামলার বিষয়ে আদালতের নজরে এলে আদালত ভিন্ন কোনো মামলায় তাকে আটক রাখার প্রয়োজন না হলে মুক্ত করে দেন। ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ভুয়া মামলার উৎস অনুসন্ধানপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনি কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এ সব পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ভুল মামলার ফাঁদ পেতে প্রতারক চক্রের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
সরকার দলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারাদেশে মামলার জট কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করর লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। পুরাতন মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রত্যেক আদালতে সাক্ষীর সমন জারি নিশ্চিতপূর্বক সাক্ষীগণকে হাজির করে দ্রæততম সময়ে সাক্ষ্যগ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, পুরাতন মামলাগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সলিসিটরের নেতৃত্বে মনিটরিং সেল কাজ করছে। মনিটরিং সেল গঠিত হওয়ার পর থেকে দেশের বৃহত্তর জেলাগুলোতে পর্যায়ক্রমে ৫ থেকে ১০ বছর এবং ১০ বছরের অধিক সময়ের পুরাতন ফৌজদারি মামলসমূহ দ্রæত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভার আয়োজন করছে এবং মামলাগুলো দ্রæত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সুপারিশমালা প্রণয়ন করছে। এ ছাড়া মামলা জট কমানোর জন্য সরকার আরো অধিক সংখ্যক বিচার নিয়োগের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বাধ্যতামূলক বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত ২১ক ধারায় প্রচলিত আইনের অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রেরিত কোনো বিরোধ বিকল্প পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির ক্ষমতা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তাকে প্রদান করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন