শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ন্যাটোকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান

কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় সামরিক অভিযান : এরদোগান

| প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আন্তঃমহাদেশীয় সামরিক সংস্থা ন্যাটোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিরিয়ায় কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ হাজার সদস্যকে নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী গঠনের ঘোষণার প্রতিবাদে এ আহ্বান জানান এরদোগান। গত মঙ্গলবার নিজ দলের এক বৈঠকে প্রদত্ত বক্তৃতায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সেনা সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর প্রধান ব্রাসেলসে, ন্যাটোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি। সদস্যভুক্ত দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব ন্যাটোর ওপরে বর্তায় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন এরদোগান। এরদোগান আরো বলেন, সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে তুর্কী সামরিক অভিযান অত্যাসন্ন। এর আগে তিনি একে সন্ত্রাসী বাহিনী বলে আখ্যায়িত করে একে আঁতুড়ঘরেই ধ্বংস করে দেবার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় আফরিন নামে যে কুর্দি এলাকা আছে সেখানে সামরিক অভিযান যে কোন সময় শুরু হতে পারে। সেখানে ওয়াইপিজি নামে কুর্দি মিলিশিয়াদের ওপর এর মধ্যেই গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এই বাহিনী গঠন নিয়ে তুরস্ক এত ক্ষিপ্ত কেন? এর একটা বড় কারণ হলো, ৩০ হাজার সদস্যের এই বাহিনীর অর্ধেকই হবে কুর্দি এবং আরব এসডিএফ যোদ্ধা। তুরস্ক সব সময়ই এই এসডিএফকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন যে সমর্থন দিচ্ছে তার বিরোধিতা করে আসছে। কারণ এসডিএফের প্রধান অংশই লোক কুর্দি পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি-র যোদ্ধারা। তুরস্ক মনে করে এই ওয়াইপিজি হচ্ছে আসলে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে-র একটি স¤প্রসারিত অংশ। তারা গত তিন দশক ধরে তুরস্কের ভেতরে যে কুর্দি জনগোষ্ঠী বাস করে- তাদের স্বায়ত্তশাসনের জন্য যুদ্ধ করে চলেছে। তুরস্কের জনসংখ্যার প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দি। কাজেই তুরস্কের ধারণা তার সীমান্তের ঠিক ওপারের এলাকাগুলো যদি একটি কুর্দিপ্রধান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় - তাহলে তা তুরস্কের ভেতরকার কুর্দিদের ওপর প্রভাব ফেলবে। কিন্তু ওয়াশিংটন এ কথা মানে না। তাদের কথা হলো: ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াইপিজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়েছে। ওযাশিংটনের ভাষায় , এসডিএফ নামে এই নতুন মিলিশিয়ার কাজ হবে তুরস্ক ও ইরাকের সাথে সিরিয়ার সীমান্ত, এবং ইউফ্রেটিস নদীর উপত্যকাকে নিরাপদ রাখা। এটিই কার্যত সিরিয়ার সরকারি সৈন্য ও এসডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকার বিভাজন রেখা। আনাদোলু, বিবিসি বাংলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
ইউসুফ ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:২৭ এএম says : 1
এগিয়ে যান আপনি ......
Total Reply(0)
ৱেজাউল ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:৪৩ পিএম says : 3
হে আল্লাহ তুমি এ মহান নেতাকে সব পকাৱেৱ বিপদ থেকে ৱক্ষা কৱুন ৷
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন