মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৭ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০১৬

তারেক সালমান : আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতের প্রথম প্রহরে গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র আমাদের দেশ, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
স্বাধীনতা অর্জনে বাঙালি জাতির রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের মাইলফলক। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ’৫৬-এর সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন, ’৫৮-এর মার্শাল ’ল বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার আন্দোলন, ’৬৯-এর রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থানের পথ পেরিয়ে ’৭০-এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সবই বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের মাইলফলক। পাকিস্তানি শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশি সময় কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা, কয়েকবার ফাঁসির কাষ্টের মুখোমুখি, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ করার পরও এদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও আপোষহীন নেতৃত্ব পরাধীন বাঙালি জাতিকে সংগ্রামী হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বক্তব্যে বাঙালিদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মরণপণ সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে গরিব-দুঃখী-মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। তিনি জেল-জুলুম-হুলিয়া, শত যন্ত্রণা, দুঃখ-কষ্ট-বেদনাকে সহ্য করেও বাংলার কৃষক-শ্রমিক জনতার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়েছেন। বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এই তিনটি বিষয়কে বাংলার জনগণ একবৃন্তে তিনটি চেতনার ফুল হিসেবে মনে করে। এই কারণে বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু চিরদিন অমøান থাকবে এবং বাংলার জনতার হৃদয়ে চিরভাস্বর থাকবেন। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে পাক-হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালানোর পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সর্বস্তরের জনগণ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী গৌরবোজ্জ্বল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলার জনগণ অর্জন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির ২৩ বছরের রক্তঝরা সংগ্রাম শেষে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সারা বাংলার জনগণকে অপরিসীম ত্যাগের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
প্রেসিডেন্টের বাণী
দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করে সকল নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতকাল শুক্রবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সকল বাংলাদেশীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় দিন। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি জাতিকে দু’দশকের অধিক সময় ধরে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ এবং স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই নেতৃত্বে বহু ত্যাগ-তিতীক্ষা এবং দীর্ঘ নয়মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। তিনি বলেন, এ দিনে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ সকলস্তরের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান ও সাহসী ভূমিকা আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।
প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন বলেন, স্বাধীনতার লক্ষ্য ও জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে বর্তমান সরকার ‘ভিশন ২০২১’ ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে একটি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সবাই অবদান রাখবেনÑএ প্রত্যাশা করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী
দেশবিরোধী যে কোন অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া গতকাল এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, রায় দেয়া হচ্ছে এবং রায় কার্যকরও শুরু হয়ছে। ঠিক সে সময়ে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের বিচার, পবিত্র সংবিধান, গণতন্ত্র ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-কে বানচাল করতে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট একাত্তরের স্টাইলে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। তাই এই মহান দিনে তিনি সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর যে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে তা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণা টেলিগ্রাম, টেলিপ্রিন্টার ও তৎকালীন ইপিআরের ওয়ারলেসের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই ঘোষণা প্রচারিত হয়। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার ডাক দেন উল্লেখ করে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু সেখানে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এরই মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে শত্রুর মোকাবিলা করার নির্দেশ দেন। স্বাধীনতার সুফল বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে তাঁর সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা হবে। সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাণী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যাঁদের আত্মত্যাগে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সেই লাখো বীর শহীদদের কথা সকৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ, তাদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জল সোনালী দিন। এ দিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন স্বত্ত্বা ফুটে উঠেছিল। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স¥ৃতির প্রতি। যাদের আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি স্বজাতির মুক্তি। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স¥ৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স¥রণ করি সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয় মাস জীবন মরণ লড়াইয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। আমি শ্রদ্ধাভরে স¥রণ করছি সে সব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
সাভার থেকে ইনকিলাবের প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ জানান, মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে ধুয়ে মুছে ও রং তুলির আচরে রাঙ্গানো হয়েছে সৌধ প্রাঙ্গন। পুকুরের পানি পরিস্কার রাখতে নৌকা দিয়ে চুন প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কের দুইপাশের বহুতলভবন ও বিপণীবিতানগুলো আলোকসজ্জা দিয়ে এক অন্যরকম সাজে সাজানো হয়েছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ২০ মার্চ থেকেই সকল প্রকার দর্শনার্থীদের স্মৃতিসৌধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান।
জাতির গৌরব আর অহংকারের এদিনটিতে সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, দিবসটি উপলক্ষে ২৫০০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গড়ে তোলা হয়েছে তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিভিলে ও পোশাকে পুলিশ এ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া রাজধানীর প্রবেশপথ আমিন বাজার থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত নিরাপত্তা বলয় ও নিবিড় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম স্মৃতিসৌধে স্থায়ীভাবে ২২টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারীর জন্য সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি ও পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বসানো হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, দিবসটি উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে সৌধ প্রাঙ্গণকে এক নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। নানা রঙ্গের বাহারী ফুলের চারা দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনা রাঙ্গানো হয়েছে রং-তুলির আচড়ে। যার ব্যায় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।
২৬ শে মার্চ সকালে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী জাতীর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পরই জনসাধারনের জন্য খুলে দেয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
অন্যান্য কর্মসূচি :
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সকল সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমুহে বিশেষ নিবন্ধ, ক্রোড়পত্র, সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশিত হবে, সরকারি ও বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন