শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

অ্যামব্রোসকে ছোঁয়ার হাতছানি মুস্তাফিজের

| প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্পোর্টস রিপোর্টার : চোট থেকে ফেরার পর এই ত্রিদেশীয় সিরিজেই দেখা মিলছে চেনা ছন্দের মুস্তাফিজুর রহমানকে। ব্যাটসম্যানদের ভড়কে দিচ্ছেন মায়াবী সব কাটারে। কব্জির ঝাঁকুনিতে বারবার ফেলছেন বেকায়দায়। টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচের দিকে দেখলে মনে হবে মুস্তাফিজ তো ‘ডট মাস্টার’। প্রথম ম্যাচে দিয়েছিলেন ৪১টি ডট বল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ ওভার বল করেই ১৬টি ডট। তিন ম্যাচ মিলিয়ে মোস্তাফিজ ছুঁড়েছেন ১২৯টি বল, যার ৯০টি বলই ডট! এসব পরিসংখ্যানের উর্দ্ধে উঠে যেতে চলেছেন বাংরাদেশের বিস্ময় পেসার। আজ আর মাত্র একটি উইকেট পেলেই ওয়ানডেতে দ্রæততম ৫০ উইকেটের তালিকায় প্রবেশ করবেন মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওয়ালশ। বেশ কিছু প্রতিভাধর ফাস্ট বোলারদের গুরু হবার আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন একজন কার্টলি অ্যামব্রোস তৈরি করতে চান তিনি। চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের ওয়ালশ বলেছিলেন, ‘আমি আসলে নিজেকে কোচ হিসেবে দেখি না। আমার মতে, আমি হলাম একজন মেন্টর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জ্যামাইকা, গøুস্টারশায়ারে সব সময় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি সব সময় চেষ্টা করে গেছি, একজন মেন্টর হিসেবে যেন কয়েকজন ফাস্ট বোলার গড়ে তুলতে পারি। কার্টলি অ্যামব্রোস ছিল তাদেরই একজন। এখন যদি বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয় একজন অ্যামব্রোস বের করতে পারি, তাহলে আমি হবো সবচেয়ে সুখী। যখন সে (অ্যামব্রোস) দলে এলো তখন থেকেই আমি সব সময় তার দেখাশোনা করতাম। আমরা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্ট্রাইক বোলিং জুটি গড়ে তুলেছিলাম। যদি আমি সেটা বাংলাদেশের দু-একজন ফাস্ট বোলারের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে সেটা দারুণ একটি কাজ হবে। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করব একজন কোচ হিসেবে, পিতা হিসেবে ও একজন মেন্টর হিসেবে। আমি তাদের ওপর থেকে চাপটা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। একজন খেলোয়াড় সেটা সবচেয়ে বেশি করতে পারে। আমার মনে আছে, যখন আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শুরু করলাম তখন ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার, মাইকেল হোল্ডিং আমার জন্য কতটা করেছিলেন। আমি বাংলাদেশ দলে সে বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে চাই।’
স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস বিশ্ব ক্রিকেটে বড় এক নাম। তার মতো কেনো, তার ধারেকাছে যেতে পারলেও যেকোন ফাস্ট বোলারের খুশিই হবার কথা। ওয়ালশের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র মুস্তাফিজের সামনে সুযোগ থাকছে অন্তত এক ক্ষেত্রে অ্যামব্রোসকে ধরতে পারার।
২০১৫ সালের ১৮ জুন ওয়ানডে অভিষেকের পর থেকে মোট ২৫ ওয়ানডে খেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বল করেছেন ২৪ ইনিংসে। আর তাতেই ১৯.১০ বোলিং গড়ে মুস্তাফিজ পেয়েছেন ৪৯ উইকেট। আর মাত্র ১ উইকেট পেলে উইকেটের ফিফটি হবে মুস্তাফিজের। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ উইকেট পেলে মুস্তাফিজ বনে যাবেন ৫০ উইকেট পেতে লেন প্যাসকো, প্যাট্রিক প্যাটারসন, হামিদ হাসান, রাশিদ খান ও কার্টলি অ্যামব্রোসদের সাথে ৮ম দ্রæততম বোলার।
১৯ ম্যাচে ৫০ ওয়ানডে উইকেট পেয়ে সবচেয়ে দ্রæততম লঙ্কান স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস। সমান ২৩ ম্যাচে ৫০ উইকেট পেয়েছিলেন অজিত আগারকার ও ম্যাকলেনাঘান। ডেনিস লিলি ও হাসান আলির লেগেছিল ২৪ ম্যাচ। ম্যাট হেনরি ও শেন ওয়ার্ন ৫০ উইকেট পেতে অপেক্ষা করেছিলেন ২৫ ম্যাচ পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত ৫০ উইকেট পেতে বাংলাদেশের মধ্যে দ্রæততম বোলার আব্দুর রাজ্জাক। ৩২ ম্যাচ খেলে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন এই স্পিন জাদুকর। সৈয়দ রাসেলের লেগেছিল ৩৯ ম্যাচ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
নিঝুম ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ৫:১৪ এএম says : 0
আশা করি আজকেই মুস্তাফিজের আশা পুরণ হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন